নিউজ ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে যাতে ফ্যাসিস্টরা ফিরে আসতে না পারে। জনগণের যে দুর্বার প্রতিরোধ সে দুর্বার প্রতিরোধে ফ্যাসিবাদ যেন চিরতরে নিমূল হয়।
এই ফ্যাসিবাদ যাতে আবারও ফিরে আসতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনক নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ যে গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে সে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেই প্রত্যাশা করছি। আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে ডা. শাহাদাতের বিজয় হওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জনপ্রিয় নেতা ভোটে প্রতিযোগিতা করে জিতিছিলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টরা জোরপূর্বকভাবে সেই ফলাফল কেড়ে নিয়েছে।
বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানাই তারা ন্যায় বিচারের মাধ্যমে ডা. শাহাদাতকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। সেই সাথে ধণ্যবাদ জানাই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে তারা আদালতের রায় মেনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করিয়েছেন।
এদিকে চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার যে ইশতেহার ছিলো চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন হবে গ্রীণ ও ক্লিন সিটি কর্পোরেশন; সেই লক্ষ্য আমি কাজ করে যাব। চট্রগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ চট্টগ্রাম বিএনপি মহানগর ও বিভাগীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, সরকার শুধুই কেয়ারটেকার সরকার না, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নিহত-আহতদের আমানত। এই সরকার রুটিন কেয়ারটেকার সরকার নয়, আন্দোলনের পর বিশেষ প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়েছে এই সরকার। তাই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশাও বেশি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে কাউন্সিলর না থাকায় ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে যারা মেয়রের নেতৃত্বে কাজ করবেন। সিটি করপোরেশনগুলোতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। বর্তমান চট্টগ্রামের মেয়রের মেয়াদ আইন অনুযায়ী যেটা হবে, ততদিন তিনি দায়িত্বে থাকবেন।