আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ২৫ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডাকসু নির্বাচনের জন্য কার্জন হলে প্রস্তুত ভোট কেন্দ্র

ডাকসু নির্বাচন
ডাকসু নির্বাচনের জন্য কার্জন হলে প্রস্তুত ভোট কেন্দ্র

শেষ সময়ে সাইবার হামলার শিকার প্রার্থীরা

ডাকসু নির্বাচন
শেষ সময়ে সাইবার হামলার শিকার প্রার্থীরা

দৃষ্টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস গড়বেন কারা

ডাকসুতে ভোট উৎসব আজ
দৃষ্টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস গড়বেন কারা

ডাকসুর ভোট গণনায় ১৪ মেশিন, ঘণ্টায় গোনা যাবে ৮০০-১৩০০ ব্যালট

ডাকসুর ভোট গণনায় ১৪ মেশিন, ঘণ্টায় গোনা যাবে ৮০০-১৩০০ ব্যালট

দুই বছর কারাগারে সাজা শেষে সেলাই মেশিন নিয়ে বাড়ি ফিরলেন রোকসানা

সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ০৮:১০

Advertisement

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ শপথ নিয়েছেন রোকসানা খাতুন। জীবনে বেঁচে থাকলে আর কোন দিন মাদক সরবরাহের কাজে জড়াবেন না আর নিজেকে। জীবনের প্রথম কারাভোগের অভিজ্ঞতায় তিনি নিজেকে সৎ পথে চলার অঙ্গীরকার করলেন। তাই মাদকের মামলায় দুই বছর তিন মাস সাজা খেটে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নীলফামারী জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি। এরপর কারাফটকের সামনে তার হাতে তুলে দেয়া হয় একটি সেলাই মেশিন। রোকসানা মনে করেন এই সেলাই মেশিন দিয়ে আয় রোজগারের একটি নতুন পথ নতুন জীবন তিনি শুরু করবেন। এজন্য তিনি নীলফামারী প্রশাসনন ও কারা কর্তৃপক্ষ কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রোকসানা খাতুন (২৫)। বাড়ি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ির কাশিয়াডাঙ্গা আশ্রয়ন এলাকায়। তার স্বামীর নাম আল মামুদ। স্বামীর সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন মাদক সরবরাহের কাজে। ২০১৬ সালের ১০ জুন রাজশাহী থেকে নীলফামারী এলাকায় নিয়ে এসেছিলেন ফেন্সিডিলের চালান। বিভিন্নজনের অর্ডারে পৌছে দিতেন। এমন এক চালানে তিনি ১০ বোতল ফেন্সিডিল বহন করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তার নামে হয় মামলা। বেশ কিছুদিন জেলে থাকার পর জামিনও পেয়েছিলেন। মাদক মামলায় নীলফামারী আদালতের নিয়মিত হাজিরাও দিতেন। ২০২৩ সালের ৯ই আগস্ট নীলফামারীর অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই মামলায় তাকে দুই বছর তিন মাস সাজা প্রদান করলে তিনি নীলফামারী জেলা কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) তার সাজা শেষ হয়। সাজা ভোগ শেষে রোকসানা খাতুনকে একটি সেলাই মেশিন তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। এসময় নীলফামারী জেলা কারাগারের সুপার রফিকুল ইসলাম, সমাজ সেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন।

সেলাই মেশিন পেয়ে নতুন করে জীবন শুরু করতে পারবে মনে করে রোকসানা খাতুন বলেন, আমার মতো কারাগারে অনেক কয়েদি আছে যারা সেলাই মেশিন ও হাতের কাজের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আজ আমি অপরাধের জগৎ ছেড়ে নিজের জীবনকে সামনের দিকে সুন্দর করে সাজাতে পারবো। এজন্য আমি জেলা প্রশাসক ও কারা সুপারের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি যাই এখান থেকে(কারাগার) যারাই বের হবে তারা যেনো অপরাধ ছেড়ে সমাজে ভালো কিছু করে সম্মানের সাথে বাঁচতে পারে।

নীলফামারী কারাগারের সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, কারাগারে সাজাভোগ থাকাকালীন রোকসানাকে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ করা হয়। এছাড়া কারাগারে অন্য নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও কৃষিকাজ, হস্তশিল্প সহ বিভিন্ন  কাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যেনো তারা অন্যায় অপরাধ ছেড়ে সমাজে ভালো কোনো পথে আয় করে জীবন-যাপন করতে পারে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান জানান, কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তিনি যেন হতাশ না হয়ে পড়েন সেজন্য পুর্নবাসন কর্মসুচির অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়। তিনি বলেন, এর ফলে তিনি মাদক ব্যবসায় জড়াবেন না আর। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হবেন। এরআগেও এমন বেশ কিছু নারীকে সাজাভোগের পর সেলাই মেশিন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পুরুষদের সাজা ভোগ শেষে পুর্নবাসন কর্মসুচির অংশ হিসেবে ইলেকট্রিক ভ্যান প্রদান করা হয়েছিলো। 

মন্তব্য করুন


Link copied