পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগাছায় মরিচ খেত ছাগলে নষ্ট করার কথা বলায় বউ-শ্বাশুরীসহ ৪ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। প্রতিবেশি আব্দুর রাজ্জাক ও তার লোকজন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটান। গুরুতর আহত বউ-শ্বাশুরীকে পীরগাছা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের চাঁদ চৌধুরী গ্রামে। এ বিষয়ে পীরগাছা থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই গ্রামের আবুল হোসেনের সাথে প্রতিবেশি আব্দুর রাজ্জাক এর পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিলো। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্দুর রাজ্জাক একটি ছাগল আবুল হোসেনের মরিচ খেতে ছেড়ে দিয়ে আসে। ছাগলটি মরিচ খেত বিনষ্ট করে। পরে আবুল হোসেন ছাগলটি তাড়িয়ে দেন এবং ছাগল ছেড়ে দিতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুর রাজ্জাক ও তার বাড়ির লোকজন ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঠা নিয়ে আবুল হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা ভাংচুর করে এবং আবুল হোসেনের স্ত্রী জোহরা বেগম (৬০) এবং তার ছেলের বউ নাহিমা ফারজানা রেবা (৩২) এর মাথায় সাজোরে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এছাড়াও তারা আবুল হোসেন ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে বেদম মারপিট করে। ঘটনার সময় হামলাকারীরা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত বউ নাহিমা ফারজানা এবং শ্বাশুরী জোহরা বেগমকে উদ্ধার করে পীরগাছা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। দুজনের মাথায় ৬টি করে সেলাই দেয়া হয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বৃদ্ধ আবুল হোসেন বলেন, ছাগল ছাড়তে নিষেধ করায় তারা দিনের বেলা হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। রাতের বেলা হলে তো মেরে ফেলতো। বউ-শ্বাশুরীর অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় আমার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম থানায় এজাহার দিয়েছে। আমরা বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পীরগাছা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।