আর্কাইভ  শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫ ● ৮ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

♦ যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রেও
♦ নির্বাচনে আগ্রহীরা ঘুরছেন এলাকায়
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর ইতি আক্তার ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড

বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২, বিকাল ০৫:৫০

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জলঢাকা রাবেয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন বাড়িতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ইতি আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় মাহমুদার রহমানকে (৩৭) মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছে। 
বুধবার(২৬ অক্টোবর) দুপুরে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মনছুর আলম ওই দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ড প্রাপ্ত আসামী ঘটনার পর থেকে পলাতক আছে। 
তবে মেয়ের হত্যার রায় শুনে যেতে পারলেন না মামলার বাদী বাবা ইয়াকুব আলী। ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারী মেয়ের শোক ও বয়সের কারনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। 
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে জলঢাকা উপজেলা শহরের মাথাভাঙ্গা গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে ইতি আক্তারকে তার বাড়িতে একাকী পেয়ে ধর্ষণের পর স্বাস রোধে হত্যা করেন মাহমুদার রহমান। ধর্ষক মাহমুদার রহমান একই উপজেলার দুন্দিবাড়ি গ্রামের আফান উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার একদিন পর ইতি আক্তারের বাবা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে ১ অক্টোবর জলঢাকা থানায় মামলা করেন। ২০০০ সালের (সংশোধনী ২০০৩ সালের ৯ এর ২ ধারা মতে ধর্ষণ এবং স্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগে ওই মামলাটি হয়। মামলার একমাত্র আসামী করা হয় মাহমুদার রহমানকে। জলঢাকা থানা পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী আদালতে অভিযোগ পত্র (চার্জশীট) দাখিল করে। মামলায় ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন আদালত। দীর্ঘ শুনানী শেষে বুধবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ওই দন্ডাদেশ প্রদান করেন। মৃত্যু দন্ডের পাশাপাশি আদালত দন্ড প্রাপ্ত মাহমুদার রহমানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন।
মামলার সরকারি পক্ষ্যে আইনজীবী ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের পিপি আইনজীবী রমেন্দ্র বর্ধণ বাপী। তাকে সহযোগিতা করেন ব্রাকের আইনী সহায়তা দানকারি আইনজীবী লায়লা আঞ্জুমান আরা ওরফে ইতি ও জেষ্ঠ আইনজীবী হারেস মর্তুজা।
পলাতক আসামীর পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আব্দুল লতিফ।
বাদী পক্ষের আইনজীবী লায়লা আঞ্জুমান আরা বলেন, বেসরকারি সংস্থা ব্রাক এই মামলায় বাদিকে আইনী সহায়তা প্রদান করেছে। ব্রাকের আইনজীবী হিসেবে আমি সরকারি কুশলীর সঙ্গে কাজ করেছি। ঘটনার পর আসামী উচ্চ আদালতে জামিনের প্রার্থনা করলে উচ্চ আদালত তাকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু আসামী আর নিম্ন আদালতে হাজির হয়নি। 
ইতি আক্তারের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, অনেক বিলম্বে রায় হলেও এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ঠ। এখন আমরা দন্ড প্রাপ্ত আসামীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতের দেয়া রায় কার্যকর করার দাবী জানাচ্ছি।
শরিফুল ইসলাম আরো বলেন, ওই মামলার বাদী ছিলেন আমার বাবা। আজকে তিনি বেঁচে থাকলে মেয়ের হত্যার বিচার হওয়ায় তিনি বেশি খুশি হতেন। মামলা দায়েরের পর বাবা তার স্বাক্ষ্য আদালতে পেশ করেছেন। আমার বোন ইতি আক্তার হত্যার ঘটনায় তিনি শারিরীক ও মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এ অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারী বাবা মারা যান। 

মন্তব্য করুন


Link copied