স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ আগামী ১০ এপ্রিল থেকে সারা দেশে এসএসসি সমমান ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের আগেই সকল শিক্ষার্থীদের এডমিট কার্ড(প্রবেশ পত্র) প্রদান ও সংশোধনের কাজ শেষ করার নিদের্শনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড।
কিন্তু পরীক্ষা শুরুর ঠিক তিনদিন আগে নীলফামারীর কানিয়াল খাতা দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের গাফিলতির কারণে ৩৪ শিক্ষার্থীর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সরেজমিনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায় ভুলে ভরা প্রবেশ পত্র নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দাখিল পরীক্ষার শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রবেশপত্রে কারো নামের বানান ভুল, কারো জন্ম তারিখ ভুল, আবার কারও প্রবেশপত্রে দেওয়া হয়েছে অন্য আরেকজনের ছবি। এসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
লিপন ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, আজকে আমাদের প্রবেশপত্র দেওয়া হবে বলে বিদ্যালয়ে আসতে বলা হয়। কিন্তু আজকে প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে দেখি আমার প্রবেশপত্র অন্য আরেকজনের ছবি। আমার ছবি নেই। আমি এই প্রবেশপত্র দিয়ে কেমন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো।
নুর জামান ইসলাম নামে আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, জন্ম নিবন্ধন ও আমার সকল কাগজপত্রে আমার মায়ের নাম আছে মমেনা বেগম। কিন্তু আজকে প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে দেখি আমার মায়ের নাম হয়েছে মমবানা বেগম। স্যারকে ভুলের কথা বললে তিনি বলেন এগুলা কোনো ভুল হইলো।
নাঈম ইসলাম নামে আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, আমার জন্ম তারিখ ১২ আগষ্ট ২০০৮ সাল। কিন্তু আমার দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্র আমার জন্ম তারিখ দেওয়া হয়েছে ১০ আগষ্ট ২০০৮ সাল। প্রবেশপত্রে ভুলে ভর্তি। পরবর্তীতে এগুলো সংশোধন আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর। আমরা অতি দ্রুত প্রবেশপত্র সংশোধন চাই।
অভিযোগের বিষয়ে কানিয়াল খাতা দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসার প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট মো. সাবেদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত মাদ্রাসায় না আসায় কিছু ভুল হয়েছে। যেগুলো খুব বড় ধরনের ভুল নয়। এগুলো সংশোধন করার জন্য বোর্ডের দরজা সব সময় খোলা আছে। আগামীকালকে(মঙ্গলবার-৮ এপ্রিল) আমাদের একজন শিক্ষক সেখানে গিয়ে এসব ঠিক করে নিয়ে আসবে।
জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ঈদ উল ফিতরের আগেই প্রবেশ পত্র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে করে কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে সংশোধন করা যায়। দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্রে যে ভুলগুলো হয়েছে এর সম্পূর্ণ দায়ভার প্রতিষ্ঠান প্রধানের। তিনি নিজ দায়িত্বে দ্রুত সংশোধন করে নিয়ে আসবে,যাতে সেই ৩৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি)’কে প্রবেশপত্র গুলো দ্রুত সংশোধন করার ব্যবস্থা নিতে বলেছি। যাতে পরীক্ষার্থীরা যথা সময় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।