নিউজ ডেস্ক ; গত তিনদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করছে, যার ফলে ঢাকায় এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই শীতল পরিস্থিতি রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে বেশ বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, চায়ের দোকানদার, দিনমজুর কুলি এবং অন্যান্য রাস্তায় খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
শীত নিবারণের জন্য এসব মানুষ ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে গরম কাপড় কিনছেন, ফলে পুরান ঢাকার গরম কাপড়ের বাজারে চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষত, বাহাদুরশাহ পার্ক সংলগ্ন লক্ষ্মীবাজার ও সদরঘাট এলাকার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে সকাল থেকেই ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। বাচ্চাদের শীতের কাপড়ের বিক্রি অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে, যার ফলে বিক্রি বেশ বেড়েছে।
লক্ষ্মীবাজারের শীতের কাপড়ের বিক্রেতা মো. সোহেল আরমান বলেন, আজ সকাল থেকেই দোকানে ক্রেতাদের ভিড়, আর অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকের বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। ভারী গরম কাপড়ের বিক্রি বেশি হচ্ছে এবং সন্ধ্যার পর বিক্রি আরো বাড়বে বলে আশা করছি।
গরম কাপড়ের দাম সম্পর্কে তিনি জানান, পোশাকের দাম আগের মতোই আছে, এমনকি কিছু কাপড়ের দাম কমেছে।
বাচ্চাদের পোশাক বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, গতকাল থেকেই বাচ্চাদের শীতের কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে। মোটা সোয়েটার ও পায়জামা বিক্রি বেশি হচ্ছে, বিশেষত ১-৩ বছরের বাচ্চাদের কাপড়।
রিকশাচালক নাফিজ উদ্দিন বলেন, আজ কয়েকদিন ধরে শীত বাড়ছে এবং আজ বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে। শীতের মধ্যে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে, অনেক সময় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। গরম কাপড় কিনতে এসে দেখলাম দাম বেড়ে গেছে। ৪-৫ দিন আগে যে পোশাক ১৫০-২০০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন তা ৩০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।