নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ ক্রিকেট শুরু ১৯৮৪ সালে। তিন দলের প্রথম আসরে ফাইনাল হয়নি। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। এরপর ১৯৮৬ সালের দ্বিতীয় আসর থেকে সর্বশেষ ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিটি আসরে ফাইনাল হয়েছে। এবারও ফাইনাল হবে। প্রথম থেকে গত আসর পর্যন্ত ভারত ১১ বার ফাইনাল খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আটবার। পাকিস্তান পাঁচবার ফাইনাল খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুবার। অবশেষে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, প্রতিবেশী দল প্রথমবার ফাইনাল খেলবে এশিয়া কাপে। এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম স্বপ্নের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোর মিলিয়ে টানা পাঁচ জয়ে ফাইনালে সূর্যকুমার যাদবের ভারত। পাকিস্তান ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশের বাজে ব্যাটিংয়ের সুযোগে।
২০২২ সালের পর ফাইনাল খেলবে পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল দুই দলের ফাইনাল ঐতিহাসিক। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লড়াইয়ে এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আগামীকালের ফাইনালের আগে পর্যন্ত এশিয়া কাপে দুই দেশ ২৫ বার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। ভারতের ১৪ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তানের জয় ছয়টি। তিন ম্যাচে ফল হয়নি। ২০১৬ সালে প্রথমবার টি-২০ ফরম্যাটে হয়েছে এশিয়া কাপ। এবার নিয়ে তৃতীয়বার হয়েছে টি-২০ ফরম্যাটে। বাকি ১৪ বার ওয়ানডে ফরম্যাটে। আগামীকালের ফাইনালের আগে টি-২০ ফরম্যাটে দুই দল ম্যাচ খেলেছে পাঁচটি। ভারতের জয় চার এবং পাকিস্তানের একটি। ২০১৬ সালে টি-২০ এশিয়া কাপে ভারত জিতেছিল ৫ উইকেটে। ২০২২ সালে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের জয় ৫ উইকেটে। এবার লিগ পর্বে ভারতের জয় ৭ উইকেটে এবং সুপার ফোরে ৬ উইকেটে।
ফাইনাল দুই দলের জন্যই স্পেশাল। রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রথম ম্যাচে ভারতের ক্রিকেটাররা হাত মেলায়নি পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে। এ নিয়ে দারুণ সমালোচিত হয়েছিলেন সূর্যকুমাররা। দ্বিতীয় মুখোমুখিতে অবশ্য হাত মিলিয়েছে। দুই প্রতিবেশীর ফাইনাল নিয়ে ‘মরুশহর’ এখন ক্রিকেটের শহর। পথ-ঘাট-অফিস-রেস্তোরাঁ-শপিং মল সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই দলের ফাইনাল। ঐতিহাসিক ফাইনাল দেখতে একটি টিকিটের জন্য মরিয়া দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।