চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জাহাঙ্গীর ও লালনের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, মঙ্গলবার মদপানে মারা যাওয়া ৫ জনের গ্রামেই এই দুজনের বাড়ি হলেও তারা মদপানে মারা গেছে কী না তা পুলিশ নিশ্চিত না। তাদের পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তারা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত সোমবার রাতে চারঘাটে পুলিশ অ্যাকাডেমির পাশে সুইপার কলোনিতে তারা সবাই মদ পান করেন। পরে মঙ্গলবার সকালে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সুইপার কলোনির অনিল কুমার (৫৫), বোধনী রাণী (৭০), জহর লাল (৬৫), গৌরশহরপুর গ্রামের মাহাতাব উদ্দিন (৫৫) ও মোক্তারপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন (৬৫) মারা যান। পরে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে লালন ও জাহাঙ্গীরও মারা গেলেন। এর আগে সকাল ৭টার দিকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
চারঘাটের ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, আগের দিন মারা যাওয়া ৫ জনের পাকস্থলিতে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। নতুন করে মারা যাওয়া এই দুজনেরও ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
ওসি জানান, মারা যাওয়া মোট ৭ জনের মধ্যে শুধু অনিল কুমার, বোধনী রাণী ও জহর লাল সুইপার ছিলেন।