বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তথ্য জানান। তিনি নিজেও অনেক কাজে মুসাকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করেছেন বলে জানান বাবুল আক্তার। বৃহস্পতিবার বাবুল আক্তারকে তিন ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিএমপি উত্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (এডিসি) ও মিতু হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এডিসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এ সময় তিনি (বাবুল) স্বীকার করে নিয়েছেন যে তার স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত মুসাকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সোর্স হিসেবে কাজে লাগিয়ে আসছেন।’
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই মুসাকে পুলিশের সোর্স হিসেবে বলে আসছিলেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তবে বাবুলের স্বীকারোক্তি থেকে এবার স্পষ্ট হলো যে, তার মাধ্যমেই মুসা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেছে।
সিএমপি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাবুল আক্তার সিএমপি সদর দফতরে পৌঁছান। এরপর সরাসরি তিনি চলে যান দ্বিতীয় তলায় এডিসি কামরুজ্জামানের কক্ষে। সেখানেই প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে কথা বলেন দু’জন।
এডিসি কামরুজ্জামান এই আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলেন, ‘দীর্ঘ আলোচনায় আমরা ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেছি। তদন্তের স্বার্থে তাকে আবারও সিএমপিতে ডাকা হতে পারে।’
আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ নিয়ে কোনও কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা হত্যার মোটিভ নিয়েও আলোচনা করেছি। তবে এ বিষয়ে বাবুল আক্তার নিশ্চিত কোনও তথ্য দিতে পারেননি। তবে কামরুল ইসলাম মুসাকে আটক করতে পারলেই ওই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানা যাবে।’
প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে মিতু হত্যার প্রধান আসামি মুসার কোনও ধরনের সন্ধান দেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।