বুধবার দুপুরে বগুড়ার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবদুল মান্নান এ রায় দেন। তবে দুটি সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার দুই বন্ধুকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরিফুল ইসলাম শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর দর্জিপাড়ার আবদুল হাকিম উদ্দিনের ছেলে। খালাসপ্রাপ্তরা হলো একই গ্রামের আবদুস সামাদের দুই ছেলে শফিকুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম।
আদালত সূত্র জানায়, আসামিরা মাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে (১৪) উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে বাড়িতে নিয়ে যায়। আরিফুল তাকে নিজ বাড়িতেই ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা শাজাহানপুর থানায় আরিফুল ইসলাম ও তার দুই বন্ধুর নামে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই বছরের ১০ এপ্রিল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। আসামিরা গ্রেফতারের পর জামিনে ছাড়া পায়।
দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার আদালত আরিফুল ইসলামকে অপহরণের জন্য যাবজ্জীবন ও ধর্ষণের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। দুটি সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে।
রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি নরেশ মুখার্জ্জী, বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নাফ মামলা পরিচালনা করেন।