শনিবার বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে হেতমখাঁ গোরস্থানে দাফন করা হয়।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সংগঠক এনায়েত কবির মিলন বলেন, দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গ থেকে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ মরদেহগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিফজুল আলম মুন্সি জানান, মরদেহ নেয়ার ব্যাপারে তারা নিহতদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িয়ে মারা যাওয়া মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানায় স্বজনরা। কোয়ান্টাম ফাউন্টেশনের মাধ্যমে বে-ওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার হাবাসপুরের বেনীপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানার বাইরে আত্মঘাতি বিস্ফোরণে মারা যান
গৃহকর্তা সাজ্জাদ হোসেন (৫০), তার স্ত্রী বেলি আক্তার (৪৫), ছেলে আল-আমিন (২৫), মেয়ে কারিমা খাতুন (১৭) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের চর চাকলা গ্রামের আবদুল হকের ছেলে আশরাফুল (২৫)।
জঙ্গি বিরোধী বিশেষ অভিযান ‘সান ডেভিল’ শেষে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। একটি শক্তিশালী বোমার আত্মঘাতি বিস্ফোরণে পাঁচ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ডা. এনামুল হক।
অভিযানের শুরুতেই হামলা চালিয়ে দমকল কর্মী আবদুল মতিনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ ঘটনায় আত্মসমর্পণ করেন সাজ্জাদের মেয়ে সুমাইয়া বেগম (২৮)। উদ্ধার করা হয় তার দুই শিশু সন্তানকে। তারা এখন গোদাগাড়ী মডেল খানা পুলিশেৃর হেফাজতে। সুমাইয়াকে নিয়ে অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন ওসি হিপজুর আলম মুন্সি। এনিয়ে এখনো মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।