আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি       রংপুর বিভাগে আসছেন ভূমিমন্ত্রী       রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত       রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়       যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী      

 width=
 

ডোমারের পল্লীতে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০১৭, বিকাল ০৬:৩৭

স্ত্রী লিজা বেগমকে(১৯) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দাগি চোর স্বামী ফটিক মিয়ার(৩৫) বিরুদ্ধে। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের আদর্শগ্রামের এই ঘটনায় পুলিশ ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে গতকাল বুধবার (১৭ মে) দুপুরে জেলার মর্গে  ময়না তদন্ত করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর মা ফাতেমা বেগম ডোমার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। ডোমার থানার ওসি মকছেদ আলী জানান প্রাথমিক তদন্তে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ওই গৃহবধু বিষপান করলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। তবে মৃতার শরীরে নির্যাতনের চিহৃ রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।এদিকে এলাকাবাসী জানায় এ ঘটনার পর লিজা বেগমের স্বামী এলাকার দাগি চোর ফটিক মিয়া পলাতক রয়েছে। জানা যায় দুই বছর আগে উক্ত এলাকার গোসাইগঞ্জ গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে লিজা বেগমের প্রেমের সর্ম্পকে একই গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে ফটিক মিয়ার বিয়ে হয়।প্রেমের সর্ম্পকের বিয়ের কারনে ফটিকের বাবা ইব্রাহিম  পুত্র ও পুত্রবধুকে তার বাড়িতে গ্রহন করেনি। ফলে জামাতাকে হামিদুল ইসলাম নিজবাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রাখতেন। এরপর তিনি মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বসবাসের জন্য আদর্শগ্রামে বাড়ি ঘর বানিয়ে দেয়। সেখানেই তারা থাকতো। তাদের একটি ৬ মাসের মেয়ে সন্তান রয়েছে। এ জন্য তিনি জামাতাকে ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে। লিজার বাবা হামিদুল ইসলাম জানায় জামাই ফটিক ক্ষুদ্র ব্যবসার টাকা জুয়া খেলে হেরে গিয়ে সে খারাপ পথে নামে। এরপর সে বিভিন্নস্থানে চোরের দলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এরপর চুরি করা শুরু করে। সে দগি চোর বনে যায়। তাকে চোরের দল হতে ফেরাতে তার মেয়ে লিজা সহ তিনি একাধিকবার চেস্টা চালায়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় প্রতিদিন লিজাকে নির্যাতন চালাতো। এরপর ফটিক যৌতুক হিসাবে দুই লাখ টাকা দাবি করে। তাকে আরো ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয় ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য। কিন্তু আবারো সে ওই টাকা জুয়া খেলে হেরে লিজাকে পুনরায় মারপিট করে আরো টাকা দাবি করে। গত মঙ্গলবার বিকালে লিজাকে বেধরক মারপিট করতে থাকলে লিজা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় তার মুখে বিষ ঢেলে তাকে  সন্ধ্যায় ডোমার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার লিজাকে মৃত ঘোষনা করলে জামাই ফটিক সেখান হতে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ  লিজার মরদেহ উদ্ধার করে গতকাল বুধবার দুপুরে নীলফামারী জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করে। সেদিন রাতে লিজাকে গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। লিজার মা ফাতেমা বেগম  বলেন  লিজাকে তার স্বামী ফটিক মিয়া হত্যা করেছে। আমি তার ফাঁসি চাই।

মন্তব্য করুন


 

Link copied