কাঁকড়ার ইঞ্জিনসহ সামনের অংশটি মূলত জমি চাষ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। যার নাম পাওয়ার টিলার। পাওয়ার টিলারের পেছনে একটি বডি যুক্ত করে মালবাহী পরিবহণ তৈরি করা হয়েছে। অদ্ভূত এই পরিবহনটি গাইবান্ধার মানুষের কাছে কাঁকড়া নামেই পরিচিত। খুব দ্রুত চলাচল করায় প্রায়ই এই যানবাহনটির নিচে চাপা পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছেই। এই যানবাহনগুলোর চালকদেরও কোনো প্রশিক্ষণ নেই। অল্প বয়সী ছেলেদের দিয়ে এই যানবাহনগুলো চালানো হয়।
কোনো প্রকার ফিটনেস বা অনুমোদনহীন এই যানবাহনটি বেপরোয়া চলাচল করে থাকে। সচেতন মহলের দাবি, বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করেই অবৈধ এই পরিবহনটি চলাচল করছে। যার ফলে একের পর এক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটলেও কারো টনক নড়ছে না। এমনকি একাধিকবার জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে আলোচনার পরও উল্লে¬খযোগ্য কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। কাঁকড়া নামের এই পরিবহনটি প্রথমদিকে মূলত মাটি ও বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হতো। এখন ইটভাটাগুলোর ইট, কয়লা, ধান-চালের বস্তাসহ, কাঠ বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করছে।
ভূক্তভোগীরা বলেন, এই অদ্ভুত যানবাহনের চলাচলের কারণে গ্রামগঞ্জের রাস্তাঘাট ধসে গিয়ে একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কার করা হলেও কাঁকড়ার অবাধ চলাচলের কারণে লাখ লাখ টাকা খরচ করেও রাস্তাগুলো ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রামাঞ্চল ছাড়াও গাইবান্ধা শহরের ডেভিডকোম্পানী পাড়া, সরকার পাড়া, ভি-এইড রোড, গাইবান্ধা-বালাসিঘাট সড়ক, গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি সড়ক, স্টেডিয়াম সংলগ্ন সড়ক, ব্রীজ রোড, গাইবান্ধা-সাদুল্যাপুর সড়ক এবং গাইবান্ধা-কলেজ রোড-নাকাইহাট সড়ক দিন দিন কাঁকড়ার দখলে চলে যাচ্ছে।