আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি       রংপুর বিভাগে আসছেন ভূমিমন্ত্রী       রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত       রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়       যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী      

 width=
 

বদরগঞ্জে দখলবাজ যুবদল সভাপতির নামে ৪২ মামলা

শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৩, দুপুর ০৪:১২

স্টাফ রিপোর্টার, উত্তরবাংলা ডটকম: রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের যুবদল সভাপতি একের পর এক জমি দখল করে নামের সাথে যোগ করেছে দখলবাজ উপাধি। তার বেপরোয়া দখলে শেষ পর্যন্ত মাথা গোজাবার এক খন্ড জমি হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে এক ভূমিহীন পরিবার। স্থানীয় যুবদল সভাপতি অহিদুল হক ও তার সহযোগী জামানসহ কিছু ভাড়াটিয়া জবরদস্তি ভাবে অন্যের জমি দখলের মিশন চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। ক্ষমতায় আসার আগেই যুবদল নেতার এরকম আগাম দাপটে এলাকায় তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে । এদিকে ওই নেতার বিরুদ্ধে ভূমি দখলসহ নানা বিষয়ে প্রায় ৪২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, নাগেরহাট রিপুজিপাড়া এলাকার কফিল উদ্দিন ও আমেনা বেওয়াকে সরকারীভাবে ১৯৯০-৯৫ সালে দুই বিঘা জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেয়া হয় । জমি লিজ পাওয়ার পর ওই পরিবার সেখানে চাষাবাদ করে আসছিলেন। কিন্তু কুতুবপুর ইউপির যুবদলের সভাপতি ভুমিদশ্যু অহিদুল হক ও তার সহযোগী জামানের দৃষ্টি পড়ে ওই জমির উপরে। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে যুবদলের সভপতি তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জমি জবর দখল করে নেয়। এসময় জমির মালিক আমেনা এবং কফিল উদ্দিন বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করে। এবং হত্যার উদ্যেশে একাধিকবার তাদেরকে হুমকি প্রদান করে।

অসহায় পরিবারটি ভুমিদশ্যুদের হাত থেকে জমি ফেরত পাওয়ার আশায় স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে ধর্ণা দিলেও কোনো সমাধানের কুল কিনারা পায়নি। জীবন বাঁচানোর সংগ্রামের পুঁজি ওই এক খন্ড জমি যুবদল নেতার দখলে যাওয়ার পর কফিল উদ্দিন শত তদবির করে সমাধান না পেয়ে হতাশা আর শোকে মৃত্যুর মুখে পতিত হন।

কফিল উদ্দিনের কিছুদিন পর তার জামাতা শফিকুল ইসলাম শিশির বাদি হয়ে রংপুর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ভূমি কমিশনার নির্দেশ দেন।

মামলার বাদি শফিকুল জানান, মামলা করার পর থেকে আসামী জামান ও অহিদুল হক মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানোসহ চাপসৃষ্টি করে আসছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, যুবদল নেতা অহিদুলের জমি দখলের এঘটনার নতুন নয়। এর আগেও দালালপাড়া গ্রামের মোজাফফর নামের এক কৃষকের জমিও দখল করে নেয়। অনেকেই অহিদুলকে ভূমিদস্যু বলে জানেন বলে তারা অভিযোগ করেন।

বর্তমানে অহিদুলের বিরুদ্ধে জমি দখলসহ বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত প্রায় ৪২টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। জানা গেছে, ওই যুবদল সভাপতির দাপটেই অনেকে এলাকায় মাদকের ব্যবসাও করছেন।

এব্যাপারে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি অহিদুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে কথা বলতে রাজি হয়নি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied