আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি       রংপুর বিভাগে আসছেন ভূমিমন্ত্রী       রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত       রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়       যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী      

 width=
 

রংপুরে জাতীয় পার্টির দূর্গে আঘাত হানতে চায় আলীগ-বিএনপি

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৩, বিকাল ০৬:০৩

গত জাতীয় নির্বাচনে রংপুর জেলার ৬টি আসেনর মধ্যে ৩টিতে জাতীয় পার্টি আর বাকী ৩টিতে আ’লীগ বিজয়ী হয়। এর মধ্যে (পীরগাছা-কাউনিয়া-৪) ও (মিঠাপুকুর-৫) আসনে আ’লীগ ও জাপা উভয়ই প্রার্থী ঘোষণা করলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয় ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের প্রাথী। বিগত বছরগুলোতে এই অঞ্চলে এককভাবে জাতীয় পার্টি তার প্রভাব নিয়ে ছিল। কিন্তু আগের মত রং আর রুপ আর জাপায় নেই। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে অনেকটা ফাটল ধরেছে। বিভিন্ন জেল উপজেলার নেতারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনেক প্রবীণ নেতা দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদান করেছে।

ইতোমধ্যে বদরগঞ্চ-তারাগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি জাপা নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার ও মিঠাপুকুর আসনের সাবেক এমপি জাপা নেতা সোলায়মান আলম ফকির বিএনপিতে যোগদান করেছে। সব মিলে এবার রসিক নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার কারণে তা অনেকটাই পাল্টে গেছে আগামি নির্বাচনের হিসেব নিকেশ। বিএনপি রংপুর জেলায় বেশি আসন পায়নি কোনবারই। তাই আগামীতে আসন নিজের দখলে নিতে এবার স্বয়ং দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া  রংপুরে গিয়ে এক জনসভায় ভোট চেয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি এ জেলায় সফর করেছিলেন। আর এবার তার এটি দ্বিতীয় সফর। তবে দলের চেয়ারপার্সনের এই সফরে কতটা লাভবান হয়েছে তা বোঝা যাবে আগামী নির্বাচনের ফলাফলে। ১৯৭৯ সালে এই জেলায় ৬টি আসনেই বিজয়ী হয় বিএনপি। কিন্তু এখন সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে রংপুর সফর বেশ কাজ লাগবে বলে মনে করছে দলের নেতারা। বিএনপি মনে করছে এই অঞ্চলে তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চেয়ারপার্সনের সফর বেশ ফলপ্রস্যু হবে বলে মনে করছেন তারা।

দলের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক-সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, আমরা আশা করছি রংপুর অঞ্চলে সব আসনই ফিরে পাব। যে যাই বলুক এ অঞ্চলের মানুষ আর জাপাকে চায় না। তারা এখন বিএনপিকে চায়।

রংপুরের বাসিন্দা ও খালেদা জিয়ার দলের আস্থাভাজন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিব-উন- নবী খান সোহেল বলেন, রংপুর জাপার ঘাঁটি হলেও এবার আমরা এ ঘাঁটিকে ভাঙ্গতে চাই। এ জন্য এখন থেকে  আমাদের প্রচার প্রচারণা চলছে।

অন্যদিকে রংপুর পীরগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েই প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেখ হাসিনা। তাই তারা মনে করছেন এ আসন থেকেই নির্বাচিত ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী। তৃনমুল নেতারা রংপুরের যেকোন আসনে জয়কে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়াও মহাজোট হওয়ার পরও জাপার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে মিঠাপুকুর থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয় কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান ও পীরগাছা আসন থেকে বিজিএমই এর সাবেক সভাপতি টিপু মুনসি। রংপুর আ’লীগ মনে করছেন রংপুর তাদের একটি বড় শক্তিশালী ঘাঁটি। তারা মনে করছেন যদি এরশাদ মহাজোট থেকে বেরিয়েও যায় তবু তারা এই আসনগুলোতে বিজয়ী হবেন বলে মনে করছেন।

দলের রংপুর বিভাগের দায়িত্বে থাকা দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রংপুর অঞ্চল আ’লীগের যে ঘাটি তা বিগত নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটে বুঝিয়ে দিয়েছে। আগামী নির্বাচনেও আমরা আশাবাদী এই এলাকার সব আসনই আমাদের দখলে থাকবে।

রংপুর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.রেজাউল করিম রাজু বলেন, রংপুর আমাদের শক্ত ঘাটি। যা আমরা গত নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়ে প্রমাণ করেছি। এবার আমরা রংপুরের যে কোন আসন থেকে জয়কে মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে দাবি জানিয়েছি আমরা মনে করি রংপুরে আ’লীগের অবস্থান দৃঢ় আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে।

তবে জাতীয় পার্টির দূর্গ কখনও কেউ ভাঙ্গতে পারবে না বলে মনে করছেন জাপা নেতারা। তারা বলছেন, এই অঞ্চল জাপার ঘাঁটি। এই ঘাঁটি দখল করতে কেউ পারেনি আর পারবেও না।

পার্টির সাংগঠনিক-সম্পাদক এসএম ফখর উজ জামান জাহাঙ্গীর বলেন, জাপার দূর্গ কোন কালেই কেউ ভাঙ্গতে পারে নি। এবারও পারবে না। তারা যতই চেষ্টা করুক জনগণ তাদের ভোট দিবে না। এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের নেতা এরশাদ। তাই তাকে ব্যতিত তারা কাউকে গ্রহণ করতে চায় না। তারা যতই সফর, সভা ও সমাবেশ করুক না কেন তাতে কোনো লাভ হবে না।

মন্তব্য করুন


 

Link copied