আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি       রংপুর বিভাগে আসছেন ভূমিমন্ত্রী       রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত       রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়       যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী      

 width=
 

পপির ‘দি ডিরেক্টর’ মুক্তির দাবিতে তোলপাড়

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৩, দুপুর ১২:৪৬

সে অর্থে চলতি বছরের বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘দি ডিরেক্টর।’ দর্শক মনে আলোড়ন সৃষ্টি করা মুক্তি প্রতীক্ষিত ভিন্নধারার বাণিজ্যিক এ চলচ্চিত্রটি বছরের শুরুতে সেন্সর বোর্ড ‘অযৌক্তিক’ কারণে আটকে দেয়। এ ঘটনার বিস্মিত হন দেশের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কলাকূশলী ও নির্মাতারা। সেন্সরবোর্ডের সমালোচনায় তাৎক্ষণিক মুখর হয়ে ওঠে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন।

সম্প্রতি চলচ্চিত্রটি মুক্তির দাবিতে ফেসবুকে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মুক্তবুদ্ধি চর্চার লেখক ও চলচ্চিত্র বোদ্ধারা ছাড়াও সাধারণ শ্রেণী-পেশার চলচ্চিত্র দর্শকদের অংশগ্রহণে চলচ্চিত্রটি মুক্তির দাবিতে সেন্সরবোর্ডের বিষোদগার করে নানা তর্ক-বিতর্কের সূচনা হয়েছে। চলচ্চিত্রটি মুক্তির লক্ষ্যে একদল চলচ্চিত্র দর্শক সৃষ্টি করেছেন ‘দি ডিরেক্টর মুক্তি আন্দোলন’।

জানা যায়, চিত্রনায়িকা পপি ও জনপ্রিয় অভিনেতা মারজুক রাসেল অভিনীত চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের ব্যাপারে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সেন্সর বোর্ড। এর পরপরই সেন্সর বোর্ডের অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক দাবি করে চলচ্চিত্রটির নির্মাতা কামরুজ্জামান কামু সেন্সর বোর্ডে আপিল করলেও মুক্তি পায়নি চলচ্চিত্রটি।

ভিন্নধারার বণিজ্যিক চলচ্চিত্রটি নিয়ে সেন্সর বোর্ডের অভিযোগগুলো হলো- চলচ্চিত্রটিতে মূল কাহিনী অপর্যাপ্ত, অশ্লীল সংলাপের ব্যবহার, বিশেষ সাংস্কৃতিক পেশার গোষ্ঠীকে হেয়ভাবে উপস্থাপন, চলচ্চিত্রশিল্পের প্রতি সাধারণ মানুষের ঘৃণা জন্মায় এমনভাবে কাহিনীর চিত্রায়ণসহ আগ্নেয়াস্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার আছে। এছাড়া আছে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, আইনহীনতা ও লাম্পট্য।

অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়ে বিস্ময়ে বিমুঢ় চলচ্চিত্রটির নির্মাতা কামরুজ্জামান কামু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'আমি চিঠি পেয়ে অবাক হয়েছি। চিঠিতে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা আসলে এ ছবিতে নেই। আমাদের নতুন সময়ের সিনেমার জন্য এটা সত্যিই হতাশাজনক একটা বিষয়।'

সম্প্রতি চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে একজন দর্শকের ‘চলচ্চিত্র মোড়লদের ষড়যন্ত্র থেকে কামরুজ্জামান কামুর 'দি ডিরেক্টর' রেহাই দেওয়া হোক!’ শিরোনামের এক ফেসুবক স্ট্যাটাসের পরিপ্রেক্ষিতে পুণরায় চলচ্চিত্রটি মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয় চলচ্চিত্রটির দর্শকরা। সৃষ্টি হয় ‘দি ডিরেক্টর মুক্তি আন্দোলন’ নামে একটি ফেসবুক পেজ।

এ প্রসঙ্গে ছবিটির পরিচালক কামরুজ্জামান কামু বলেন, ‘একটি নির্দোষ ছবিকে এভাবে আটকে রাখা সেন্সর বোর্ডের উচিত নয়। আমি মনে করি, এটা আমার ওপর এক ধরনের জবরদস্তি। ছবিটির প্রতি দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। আমি ছবিটিকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এই ছবিটি মুক্তি না দেয়া হলে আমি তো বটেই, নতুন প্রজন্মের ডিরেক্টররা অবদমিত হবেন। সেটা আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য নেতিবাচক ফল বয়ে আনবে।’

ফেসবুকে সৃষ্ট আন্দোলন প্রসঙ্গে কামু আরও বলেন, ‘দি ডিরেক্টর মুক্তি আন্দোলন আমি গঠন করিনি। ছবিটির ব্যাপারে সংবেদনশীলদের পক্ষ থেকে এটি গঠন করা হয়েছে। ছবিটি মুক্তি দেয়া না হলে ফেসবুকের বাইরেও এই আন্দোলনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে তারা আমাকে জানিয়েছেন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে যারা যোগ দিচ্ছেন, আমার পক্ষ থেকে তাদের প্রতি লাল সালাম।’

জানা যায়, সেন্সরবোর্ডের অন্যতম সদস্য নায়করাজ রাজ্জাকের আপত্তির কারণেই চলচ্চিত্রটির মুক্তি আটকে যায়।

দি ডিরেক্টর চলচ্চিত্রের মুক্তির দাবিতে সেন্সরবোর্ডের সমালোচনায় ফেসবুকে দর্শকদের বিভিন্ন মন্তব্য থেকে কয়েকটি মন্তব্য বাংলামেইলের পাঠকের জন্য উপস্থাপিত হলো।

ফেসবুকে সেন্সরবোর্ডের সমালোচনা

ব্রাত্য রাইসু : রাজ্জাক সাহেবের মোড়লসুলভ আপত্তির দৃষ্টান্ত যদি গ্রহণ করে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড তবে পুলিশ পেশার লোকদের আপত্তির কারণে কোনো ছবিই ছাড়পত্র পাবে না। অন্যান্য পেশাজীবীদের কথা বাদই দিলাম। প্রিয় নায়করাজ রাজ্জাক, আপনার আপত্তি তুলে নিন। প্রতিভাবান কবি ও পরিচালক কামুর কাজকে দেখার সুযোগ করে দিন চলচ্চিত্র দর্শকদের। কেবল আপনারাই কইরা খাবেন--তা কেন?’

চারু পিন্টু : কবি কামরুজ্জামান কামুর দি ডিরেক্টর সিনেমার এফডিসির অযৌক্তিক আপত্তি তুলে নেওয়া হোক এবং মুক্তি দেওয়া হোক।

জাকির মোস্তাফিজ : এমনও হতে পারে কামু যা দেখিয়েছে তার চেয়েও বাজে ঐ লোকগুলো, তা যদি না হয় ভালোই হয়ে থাকেন তারা, তবে সাহস থাকলে মানুষের সামনে এসে দাঁড়াক, মানুষ দেখে রায় দিক কে ঠিক !

আহমাদ শামীম: সেন্সর প্রথার উচ্ছেদ চাই, বিনিময়ে রেটিং প্রথা চালু হতে পারে। সেন্সরবোর্ডে আটকে পড়া কামুর দি ডিরেক্টর ছবিকে ঘিরে সেন্সর বোর্ড উচ্ছেদের দাবি ওঠা দরকার।.... কয়েকজন মানুষের রুচির ওপর জাতীয় রুচিকে কেউ বর্গা দিয়ে রাখে নাই। আজকের সেন্সরবোর্ড যেভাবে আছে তা চরম অশ্লীলতাপূর্ণ। একে ভেঙ্গে দিতে হবে।

নাসরিন জেরিন: নিন্দা জানাই......প্রত্যাশা করি দ্রুত মুক্তির আলোয় আসুক কামুর ‘দি ডিরেক্টর।’ কবে থেকে অপেক্ষায় আছি, দেখব বলে!................ঘোড়ার ডিম বাংলাদেশের সেন্সরবোর্ড এর জন্য আজও পারলাম না..........বাংলামেইল

মন্তব্য করুন


 

Link copied