আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি       রংপুর বিভাগে আসছেন ভূমিমন্ত্রী       রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত       রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়       যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী      

 width=
 

ক্ষমতা ছাড়া তারা অস্তিত্বহীন, সেটা প্রমাণিত: প্রধানমন্ত্রী

বুধবার, ২৭ মার্চ ২০১৯, বিকাল ০৭:৩৬

বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।

বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা দেশের মানুষকে ভিক্ষুক বানিয়ে রেখেছিল। আমরা যখন প্রথমবার ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি তখন তাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেছিল, স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো নয়। এতে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যায় না। আসলে তারা জাতিকে ভিক্ষুক বানিয়ে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন অনুযায়ী জাতিকে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্ত করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর তারা ক্ষমতায় ছিল। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হতো। যাদের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল সেই সশস্ত্র বাহিনীর জন্য তা কী করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর দিকে তাদের নজর ছিল না। নজর ছিল নিজেদের উন্নতি দিকে আর একটি এলিট গ্রুপ সৃষ্টি করার দিকে। তারা একটি চাটুকারের দল সৃষ্টি করেছিল।’

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষ প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রের স্বাদ পায়। এজন্য তিনি আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের শেখড় দেশের জনগণের সঙ্গে, তাই শত চেষ্টা করেও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা যাবে না বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

সুশীল সমাজের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্যটা হলো স্বাধীনতার পর যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল অনেকের কাছে তা ভালো লাগেনি। কিন্তু সেই চাটুকারেরা পরে মিলিটারি ডিকটেরদের বাহবা দিয়েছে। মার্শাল ল দিয়ে যারা দেশ চালায় যতই রাজনৈতিক দল করার অনুমতি দিক না কেন তাদের শাসনে গণতন্ত্রের ধারা কীভাবে থাকে সেটাই আমার প্রশ্ন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সত্য একদিন না একদিন উদ্ভাসিত হয় সেটা প্রমাণিত হয়েছে। যদিও এর জন্য সময় লেগেছে। একটা জেনারেশন ভুল ইতিহাস জেনেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ মহাকাশ থেকে সমুদ্রের তলদেশে পর্যন্ত আমাদের বিচরণ। আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা এটা করতে পারেনি বা করতে চায়নি। তারা ভোগ বিলাসে গা ভাসিয়েছে। পরাজিত শক্তির পদলেহন করেছে। জাতি মর্যাদা নিয়ে চলুক সেটা তারা চায়নি।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশ আজ সারা বিশ্বে একটি মর্যাদাপূর্ণ জায়গায় পৌঁছেছে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেশকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার পরিকল্পনাও তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied