আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড: আগুনে ভস্মীভূত চারটি যানবাহন       শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি       রংপুর বিভাগে আসছেন ভূমিমন্ত্রী       রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত       রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়      

 width=
 

বিএনপি রাজপথে না নামলে জামায়াতও নামবে না

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩, দুপুর ১০:০৯

রাজীব আহাম্মদ:
আজকের 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির দিকে তাকিয়ে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের বক্তব্য_ বিএনপি না নামলে জামায়াতও রাজপথে নামবে না। বিএনপি শক্তভাবে নামলে জামায়াতও রাজধানীর রাজপথে 'শক্তি' দেখাবে। এ শক্তির অর্থ হলো সহিংসতা ও নাশকতা। বিএনপি শক্তি দেখাতে না পারলে জামায়াত এককভাবে ঝুঁকি নেবে না। গত বছরের ১২ মার্চ এবং চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর রাজধানীতে বড় সমাবেশ করে ১৮ দল। তখন বাধা দিলেও শেষ সময়ে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। এবার সমাবেশেরও অনুমতি নেই। অনুমতি না থাকলেও ১৮ দল যে কোনো মূল্যে অভিযাত্রা শেষে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান একই ঘোষণা দেন। অন্যদিকে সরকার তা প্রতিহত করতে অনড়। রাজপথে পাহারায় থাকবে আওয়ামী লীগ। অভিযোগ রয়েছে, দলীয় কর্মসূচিতে জামায়াত-শিবির যতটা তৎপর থাকে জোটের কর্মসূচিতে ততটা থাকে না। আজকের কর্মসূচিতে জামায়াতের ভূমিকা কী হবে? জানতে চাইলে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতারা জানান, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপি যদি সর্বশক্তি নিয়ে রাজপথে নামে তাহলে জামায়াতও থাকবে। বিএনপি নয়াপল্টনে জমায়েত হতে পারলে তবেই জামায়াত তাতে যোগ দেবে। অন্যথা এককভাবে ঝুঁকি নেবে না। পুলিশের সঙ্গে এককভাবে সংঘর্ষে না জড়াতে দলের কর্মীদের সতর্ক করেছে ঢাকা মহানগর জামায়াত। বিএনপি পুলিশের বাধার জবাব দিলে তবেই জামায়াত বাধা প্রতিহত করবে। বিএনপির দিকে তাকিয়ে থাকলেও দলটির সঙ্গে সমন্বয় নেই জামায়াতের। অতীতে কর্মসূচির আগে সমন্বয় সভা, প্রস্তুতি সভা করা হতো। এবার তা হয়নি। সমাবেশের অনুমতিও নেই। এ কারণে আজকের কর্মসূচি নিয়ে কিছুটা অন্ধকারে জামায়াত-শিবির। এ বিষয়টি স্বীকার করে শিবিরের প্রচার বিভাগের সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, 'কখন কোথায় জমায়েত হতে হবে এগুলো সিদ্ধান্ত হয়ত পরিস্থিতি অনুযায়ী নিতে হবে।' জামায়াতকে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা আসতে নিষেধ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীরাই আজকের কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন। ঢাকা মহানগর (পূর্ব) শিবিরের এক সদস্য জানান, 'বড় ধরনে ওজর (সমস্যা) না থাকলে কোনো পর্যায়ের 'জনশক্তির' অর্থাৎ ক্যাডারদের ছুটি নেই।' যদি বিএনপি নামে তাহলে ঢাকা মহানগর জামায়াতের নিবন্ধিত রুকন-কর্মী সবাই নামবেন। এদের সংখ্যা ৭৭ হাজার। শিবিরসহ পুরুষ নেতাকর্মীর সংখ্যা এক লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার। তেিদর মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার আজকের কর্মসূচিতে যোগ দেবে। ঢাকার বাইরে থেকে নেতাকর্মীদের না আসার বিষয়টি স্বীকার করে ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক আ স ম ইয়াহিয়া সমকালকে জানান, 'সরকার সারাদেশে মহাসড়কগুলোতে বিভীষিকার সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতির কারণেই শুধু ঢাকার 'জনশক্তি' কর্মসূচিতে যোগ দেবে।'
খালেদা জিয়ার আহ্বান অনুযায়ী জাতীয় পতাকা নিয়েই রাজপথে নামবেন জামায়াত-শিবির কর্মীরা- এ দাবি করেন দলটির কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তবে শিবিরের নেতারা জানান, অতীতের মতো পতাকা বহনের জন্য গজারির লাঠি নিয়ে রাজপথে থাকবের নেতাকর্মীরা। ১৩ ডিসেম্বরও লাঠি হাতে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় জামায়াত। আজ বাধা পেয়ে বিএনপি প্রতিরোধে নামলে জামায়াত একই ভূমিকায় থাকবে। সমকাল

মন্তব্য করুন


 

Link copied