আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি       রংপুর বিভাগে আসছেন ভূমিমন্ত্রী       রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত       রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়       যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী      

 width=
 

সংবিধান তুমি কার?

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৪, রাত ১১:১৫

ইমরান আনসারী

বছর খানেক আগে সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারপতির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সংসদের অধিবেশন। সংসদ ও বিচার বিভাগ এক ধরনের বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল সংসদ নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষমতা বিচার বিভাগের আছে কিনা? সংসদ সার্বভৌম কিনা? বিষয়টির সুস্পষ্ট কোনো সমাধান না আসলেও একটি বিষয় সংবিধাণের ৭ এর ২ অনুচ্ছেদ অনুসারে পরিষ্কার হয়েছিল যে ‘সংবিধানই হচ্ছে সার্বভৌম।’ এক্ষেত্রে সংবিধান  রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ব তথা আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগকে যেরূপ ক্ষমতা দিয়েছে সে বিভাগ ততটুকু ক্ষমতাবান। উক্ত অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে-জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যাক্তিরুপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস হয় , তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ন, ততখানি বাতিল হইবে। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ বাংলাদেশের সকল বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি জানান দিয়েছে। এ অনুচ্ছেদে জনগণের অভিপ্রায় বা ইচ্ছাকে প্রাধাণ্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দেশের কয়েকটি ঘটনাপ্রবাহ সংবিধানের এ শ্রেষ্ঠত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ‘সাংবিধানিক শ্রেষ্ঠত্বের’ চেয়ে ‘প্রধানমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্ব’ এখন সবচেয়ে বেশী কার্যকর। জনগনের অভিপ্রায় বা ইচ্ছার বহি:প্রকাশ ঘটে সার্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে। এখন প্রশ্ন উঠেছে গেল ৫ ই জানুয়ারী ২০১৪ যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল সে নির্বাচনে দেশের কত শতাংশ লোকের অভিপ্রায় বা ইচ্ছার প্রকাশ ঘটেছিল। জবাবটি অত্যন্ত সহজ। বাস্তবিক পক্ষে দেশের মাত্র ১০ শতাংশ লোক এ নির্বাচনে মতামত দিতে পেরেছে এবং তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করতে পেরেছে বলে পত্রপত্রিকায় ইতোমধ্যে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতো কিছুর পরও যেখানে আওয়ামী লীগ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে এবং সরকার গঠনে তাদের আইনগত কোনো বাধা ছিল না- এমনি এক বাস্তবতায় সংবিধান রক্ষার নাম করে সংবিধানিক বিধি বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তড়িঘরি করে সংসদ সদস্যরা যে শপথ নিলেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজির বিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে। শুধু তাই নয় সংবিধানকে পাস কাটিয়ে বেশ কয়েকটি সংবিধান বিরোধী কাজ করা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। প্রথমত; নবম সংসদের মেয়াদ বাকী থাকতেই দশম সংসদের নির্বাচিত সাংসদদের শপথ পড়ানো হয়েছে। দ্বিতীয়ত; শুধু শপথ পড়িয়ে ক্ষান্ত দেয়া হয়নি শপথ পড়া সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়েছে। তৃতীয়ত; একজন সংসদ সদস্য কেবল একটি মাত্র আসনে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন সেখানে একই আসনে দুই সংসদ সদস্য বিদ্যমান রয়েছেন তৃতীয়ত; মন্ত্রীসভা না ভেঙ্গেই নতুন মন্ত্রী সভার শপথ শেষ করা হয়েছে পঞ্চমত; বিরোধী দলকে মন্ত্রী সভায় স্থান দেয়া হয়েছে। আর একাজগুলো করাবার জন্য ক্ষমতাসীন দল নির্বাচন কমিশন, জাতীয় সংসদ ও ভঙ্গ ভবনকে অনৈতিকভাবে কাজে লাগাবার চেষ্টা করেছেন। যা স্পষ্টতই দৃশ্যমান। একটি সংসদের মেয়াদ বাকী থাকতেই আরেকটি সংসদের সদস্য হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করা সংবিধানের ১২৩ ও ৭১ অনুচ্ছেদ বিরোধী। এটা সকলের জানা যে, এবারের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সংবিধানের ১২৩ এর(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অর্থাৎ সংসদের মেয়াদ শেষ হবার ৯০ দিন আগ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় কর্মকান্ড করা হয়েছে এবং ৫ ই জানুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন  অনুষ্ঠান করার সাথে সাথে বেশ কিছু বিধি নিষেধ সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে আলোচিত হয়েছে। ১২৩ এর (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘তবে শর্ত থাকে যে এই অনুচ্ছেদের (ক) উপদফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যাক্তিগন, উক্ত উপ-দফার উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ-সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।’ সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে আগামী ২৪ শে জানুয়ারী ২০১৪ আগে সংসদ সদস্য হিসেবে কারো কার্যভার গ্রহণ করা অসাংবিধানিক এবং অবৈধ। আর যেহেতু ২৪ শে জানুয়ারীর আগে কেউ সংসদ সদস্য হিসেবে কার্যভার নিতে পারবেন না তথা সংসদ গঠিত হতে পারছেনা সেহেতু দশম সংসদের মন্ত্রীসভা সংবিধান বিরোধী ও অবৈধ ছাড়া আর কি হতে পারে। কারণ সংসদ গঠন হবার পরই কেবল  রাষ্ট্রেপতির বিবেচনার বিষয় হয়ে দাড়ায় যে তিনি কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানাবেন। এক্ষেত্রে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার সংবিধানের রক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের যে শপথ নিয়েছিলেন তা স্পষ্টতই ভঙ্গ করেছেন। শুধু তাই নয় ১২৩ এর (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন ৯০ দিন সময়ে সংসদের কোনো ধরণের অধিবেশন আহ্বানকেও নিরুৎসাহিত করেছে সংবিধানের ৭২ (১) অনুচ্ছেদ । সে অবস্থায় মেয়াদ শেষ হবার আগে আরেকটি সংসদ গঠন করা কতটা আইনসিদ্ধ তা নিয়ে এখন বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও সংবিধানে একজন ব্যাক্তির একাধিক সংসদীয় এলাকা থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা রয়েছে।  সংবিধানের ৭১ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘কোন ব্যক্তি একই সময়ে দুই বা ততোধিক নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য হইবেন না। উক্ত অনুচ্ছেদের (২) (ক) -তে বলা হয়েছে তাহার সর্বশেষ নির্বাচনের ত্রিশ দিনের মধ্যে তিনি কোন্ নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করিতে ইচ্ছুক, তাহা জ্ঞাপন করিয়া নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বাক্ষরযুক্ত ঘোষনা প্রদান করিবেন।’ সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ একই আসনে একই সময়ে দুইজন সংসদ সদস্য হবার বিষয়টি নাকচ করে দেয়। নবনিযুক্ত আইনমন্ত্রী প্রখ্যাত আইনজীবি আনিসুল হক সংসদের মেয়াদ শেষ হবার আগে সংসদ সদস্যদের শপথের ঘটনাটি সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে দেয়া শপথের আলোকে জায়েজ করার চেষ্টা চালিয়েছেন। কারণ সংসদ সদস্যরা যখন শপথ নেন তখন তারা ঘোষনা দেন ‘আমি যে কার্যভার গ্রহণ করিতে যাইতেছি’ । এই ‘যাইতেছি’ শব্দটির কারণেই তার ভাষায় নবম সংসদ বহাল থাকা স্বত্ত্বেও দশম সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেয়াতে কোন অসুবিধা হয়নি। কারণ শপথ বাক্যে ‘কার্যভার গ্রহণ করছি’ বলা হয়নি। মাননীয় আইনমন্ত্রীর স্মরণ রাখা উচিত সংবিধানের ১৪৮ এর (৩) অনুচ্ছেদটি। উক্ত অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘এই সংবিধানে অধীন যে ক্ষেত্রে কোন ব্যাক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথগ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে’। সুতরাং দশম জাতীয় সংসদের যেসব সংসদ সদস্য শপথ নিয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলে বিবেচিত হবার ব্যাখ্যা উপরোক্ত অনুচ্ছেদ স্পষ্ট করেছে। এছাড়া সংসদ সদস্যরা যখন শপথ নেন সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি ৫  ও ৬ ধারা অনুসারে শপথ নেয়ার পরপরই পঠিত নির্ধারিত  শপথ পত্রে স্বাক্ষর করে থাকেন। শুধু তাই নয় সংসদ সদস্যদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়। সেই তালিকায় সংসদ সচিবের উপস্থিতিতে একেক জন করে স্বাক্ষর করতে হয় । এতো আনুষ্ঠানিকতার পর সংসদ সদস্যরা কার্যভার গ্রহণ করেন নাই একথা বলার কোন সুযোগ নেই। এখন যেখানে সংবিধানের ৭২(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভাঙ্গিয়া না দিয়া থাকিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবে’। এমনি একটি বাস্তবতায় সংসদ ২৪ শে জানুয়ারি ২০১৪ পর্যন্ত বিদ্যমান থাকা অবস্থায় কি করে আরেকটি সংসদ গঠিত হতে পারে। পৃথিবীতে এমন নজির খুঁজে পাওয়া দুস্কর। এছাড়া নবম সংসদ বিদ্যামান থাকা অবস্থায় দশম সংসদ গঠন করে সেই সংসদের সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত মন্ত্রিসভা অবৈধ ও বেআইনি ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে। কারণ বৈধভাবে সংসদ গঠন হলে , সংসদ সদস্যদের কার্যভার গ্রহণের বিষয়টি বৈধ না হলে এ সংসদের গঠিত মন্ত্রীসভা কি করে বৈধ হতে পারে? আওয়ামী লীগ সাংবিধান রক্ষার অযুহাত দেখিয়ে বলতে পারেন সংবিধানের ১৪৮ এর ২(ক)-তে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ফলাফলের গ্যাজেট প্রকাশ করলেই তিন দিনের মধ্যে শপথ নেয়ার বাধ্য বাধকতা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনকে একটি সংসদ বিদ্যমান থাকতে আরেকটি সংসদের দ্রুত ফলাফলের গেজেট প্রকাশের বাধ্য বাধকতা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ দেয় নাই এটি হলফ করেই বলতে পারে। এক্ষেত্রে এ কমিশন যে সরকারের আজ্ঞাবহ একটি কমিশন তা নির্লজ্জ আবারো প্রমান করলো। এতো গেল সংসদ প্রতিষ্ঠা এবং সরকার গঠনের দিক। আর পঞ্চমত যে ঘটনাটি সাড়া বিশ্বে উপস্থাপন করা হলো তা হচ্ছে - সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় বিরোধী দলকে মন্ত্রী সভায় স্থান দেয়া। দেশের প্রখ্যাত আইনবিদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এ ঘটনাকে বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক বিবর্তন’ হিসেবে দেখছেন। কেউ দেখছেন ‘নজিরবিহীন ঘটনা’ হিসেবে। আবার কেউ বলছেন এটি ‘নিউ এক্সপিরিমেন্ট’।  ১৯৯৬ সালেও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসভায় যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় পার্টি সেসময় প্রধান বিরোধী দল ছিল না । তা স্বত্ত্বেও এ নিয়ে সংকট তৈরী হয়েছিল এমনকি এনিয়ে হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছিল। কারণ এরশাদ জেল থেকে বেরিয়ে চাচ্ছিলেন না আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মন্ত্রীসভায় থাকুক।২০০১ সালে হাইকোর্টেও রায়ে বলা হয়েছিল জাতীয় পার্টি ও তাঁর নেতার সম্মতিতে মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করায় তাঁর সদস্যপদ শুন্য হইবেনা।  কিন্তু এখন মনে রাখতে হবে জাতীয় পার্টি সংসদের প্রধান বিরোধী দল।  যেখানে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে -কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যাক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোট দান করেন তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শুন্য হইবে। এখন যদি ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির বিপক্ষে সংসদে ভোট দেন তাহলে কি তাদের সংসদ সদস্য পদ শুন্য হবে? নাকি প্রধান বিরোধী দল সিদ্ধান্তই নিয়েছে সরকারের বিপক্ষে কোন ভোট না দেয়াই হবে বিরোধী দল হিসেবে তাদের প্রধান দায়িত্ব।  এতো কিছুর পরও দশম সংসদ এবং গঠিত মন্ত্রীসভা ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ দেখিয়ে এক সময় বৈধতা দেয়া হবে। যেমনটা বৈধতা পেয়েছিল ৮৬’র নির্বাচনের পর এরশাদের সরকার, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির পর গঠিত বিএনপি সরকার, ২০০৭-২০০৮ সালের ফখরুদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন সেনাসমর্থিত সরকার। আর এটি এজন্যই হবে যে  দেশে এখন ‘সাংবিধানিক শ্রেষ্ঠত্ব বা সার্বভৌমত্ব’ মূখ্য নয়, মূখ্য হচ্ছে ‘প্রধানমন্ত্রীর সার্বভৌমত্ব’ তথা ক্ষমতাসীন ‘সরকার প্রধানের সার্বভৌমত্ব।’ আর এতসব সংবিধান বিচ্যুতির মহোৎসবে বলতে বাধ্য হই ‘সংবিধান তুমি কার? লেখক: সাংবাদিক ও এম. ফিল গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , ই-মেইল: Imran.ansary@gmail.com

মন্তব্য করুন


 

Link copied