বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীরা নগরীর পায়রা চত্বর, শাপলা চত্বর, লালবাগ, মেডিক্যাল মোড়, ডিসির মোড়, মডার্ন মোড়, দর্শনা মোড়, টার্মিনালসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। নগরীতে কোন প্রকার যান চলাচল করছে না। চলছে না দূরপাল্লার গাড়ী।
এদিকে হরতালে ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুলগামী, অফিস-গামী ও কর্মজীবী লোকজন। মানুষজন হেঁটে প্রয়োজনীয় কাজ সারছে। সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। হরতালকারীরা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করছে। হরতালে স্থবির হয়ে পড়েছে নগরী।
মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, রংপুরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে হরতাল পালন করছে। ইয়াসিরের ওপর হামলা এবং রংপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির প্রতিবাদেই আজকের এই হরতাল। এজন্য জাতীয় পার্টির সবস্তরের নেতাকর্মীরা হরতালের মাঠে আছে।
হরতালের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থানে আছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। নগরীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজনিন সুলতানা ও ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুল কবিরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে হরতাল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
রংপুরের ভারপ্রাপ্ত এসপি আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, হরতালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।