নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনে ওয়েবসাইটে গতকাল পর্যন্ত দেখা গেছে পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে জি এম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নাম। বর্তমানে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। আর মুজিবুল হক চুন্নু আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন অংশের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ নিবন্ধন ধরে রাখা আর আনিসুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন অংশ নিবন্ধন লাভের চেষ্টায় লড়াই করে চলেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় পার্টি নিজের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণেও বড় ধরনের চাপে রয়েছে। দলটি থেকে বহিষ্কৃত নেতারা নতুন আরেকটি জাতীয় পার্টি করায় এই চাপ আরও বেড়েছে।
জুলাই মাসে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এবং দুই জ্যেষ্ঠ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলারকে অব্যাহতি দেন জি এম কাদের। মহাসচিব করেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে। আগস্টে বহিষ্কৃতরা কাউন্সিলের মাধ্যমে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে নতুন কমিটি করে নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। তারা মূল জাতীয় পার্টি হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে চাইছে। সেজন্য তারা নির্বাচন কমিশনে আবেদনও করেছে।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলার বিষয়ে বলেন, জ্বালাও-পোড়াও সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে। এটি কাম্য নয়। নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, আশা করছি, নির্বাচন কমিশন যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুতই আমাদের নামে দলের নিবন্ধন দেবে। তিনি বলেন, আমরা ছাড়া আর কোনো জাতীয় পার্টি নেই। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, সরকারকেও বলেছি। আমরা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে দ্রুতই কাকরাইল অফিসে যাব।