আর্কাইভ  শনিবার ● ১৮ মে ২০২৪ ● ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ১৮ মে ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি       জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণায় সৈয়দপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা       লালমনিরহাটে তৈরি হলো দেশের প্রথম ‘টার্ন টেবিল’       রংপুরে পুকুর থেকে তিন এলএমজি ম্যাগজিন ও গুলি উদ্ধার       কালীগঞ্জে আগুনে পুড়লো ২৫টি দোকান কোটি টাকার ক্ষতি      

 width=
 

সৈয়দপুরে সাবেক এমপি আলিম উদ্দিনের ইন্তেকাল

মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট ২০১৫, বিকাল ০৬:৩২

মঙ্গলবার বাদ যোহর সৈয়দপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে প্রথম দফা নামাজে জানাজা শেষে পুলিশের একটি চৌকস দল তার মরদেহ কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করে।

এরপর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বাদ আছর দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার নওখৈ গ্রামের বাড়িতে। বাদ এশা সৈয়দপুর হাইস্কুল মাঠে সর্ব শেষ নামাজে জানাজা শেষে সৈয়দপুর হাতিখানা কেন্দ্রিয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন সংস্কৃতি মন্ত্রী নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর, নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী ৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ মমতাজুল হক,জেলা চেম্বারের সভাপতি এস,এম সফিকুল আলম ডাবলু প্রমুখ।

এ ছাড়া জেলা বাংলাদেশ সরকারে পক্ষে জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী মরহুমের বাসভবনে এসে তার পরিবারের প্রতি শোক সমবেদনা জানায়। মরহুম আলিম উদ্দিনের স্ত্রী নীলফামারী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় মহিলা সংস্থার নীলফামারী অফিসের চেয়ারম্যান রাবেয়া আলিম এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

আলিম উদ্দিন ১৯৪০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শহীদ ডাঃ বদিউজ্জামান ও মাতা আঞ্জেমা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু কালিন ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল পাকসেনাদের গুলিতে নিহত হন হয়ে শহীদ হয়েছিলেন তার পিতা ডাঃ বদিউজ্জামান। আলিম উদ্দিন ছয় নম্বর সেক্টর থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। ছাত্র অবস্থায় তিনি সৈয়দপুর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের মুলধারায় এসে ১৯৭৩ সালে তৎকালিন সময় সৈয়দপুর আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে সৈয়দপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ৩ বছর দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির বাহিরেও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থাকায় তিনি সৈয়দপুরের শিল্প সাহিত্য সংসদের সভাপতি ও সৈয়দপুর হোমিও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied