স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ বাতাসে গাছের আম মাটিতে পড়েছে। তা কুড়ানোর জন্য গেলে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ বছরের শিশু নাদিয়া আক্তার। সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের কপিল উদ্দিনের ছেলে সোহেল মিয়া বাঁশের কঞ্চি দিয়ে শিশুটিকে পিটিয়ে ক্ষান্ত হননি। তাকে মাটিতে ফেলে বুকের উপর পা তুলে দিয়ে পিষে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। গ্রামের লোকজন ছুটে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী জানায় বাতাসে গাছের আম ঝরে পড়ে। এটি দেখে গ্রামের নাজমুল হোসেনের ৫ বছর বয়সের শিশু মেয়ে নাদিয়া আক্তার দুপুরে সোহেল মিয়ার আম গাছের আম কুড়াতে যায়। আম কুড়ানো দেখতে পেয়ে আম গাছের মালিক সোহেল মিয়া বাঁশের কঞ্চি দিয়ে শিশুটিকে পিটাতে থাকে । এসময় নাদিয়া মাটিতে পরে গেলে তার বুকের উপর পা দিয়ে পিষে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। শিশুটির মা লায়লা বেগম গ্রামবাসী আমার মেয়েটি উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ঘটনার পর শিশু নির্যাতনকারী সোহেল মিয়া গাঁ-ঢাকা দেয়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে- ই আলম সিদ্দিকি হাসপাতালে শিশুটির খোঁজ খবর নেন ও চিকিৎসার সহযোগীতা করেন। তিনি জানান শিশুটির অভিভাবককে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বাহাগিলি ইউপি চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা বলেন শিশুটির সাথে যে নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা অমানবিক এটা কখনো মেনে নেয়া যায় না।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি রাজীব কুমার রায় বলেন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা করছি।