আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ৩ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাবেক ইন্সটাক্টর ও পুলিশের এসআই'র বাড়ি ও সম্পদ ক্রোক

রংপুরে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাবেক ইন্সটাক্টর ও পুলিশের এসআই'র বাড়ি ও সম্পদ ক্রোক

শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ৩৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ভারতে অবস্থান করা
শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ৩৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ইলিশ ছাড়া এবারও নালিশী কান্ড ভারতের পশ্চিমবঙ্গে

“ হাসিনা নেই, ইলিশও কম ”
ইলিশ ছাড়া এবারও নালিশী কান্ড ভারতের পশ্চিমবঙ্গে

রংপুরে সড়ক অবরোধ করে কারিগরি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রংপুরে সড়ক অবরোধ করে কারিগরি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

“ হাসিনা নেই, ইলিশও কম ”

ইলিশ ছাড়া এবারও নালিশী কান্ড ভারতের পশ্চিমবঙ্গে

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ০৮:০২

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  শারদীয় উৎসব মানেই দাদাদের পাতে পদ্দার ইলিশ। খাওয়া-দাওয়ার তালিকায় যদি সেই ইলিশই না থাকে তবে কি আর দাদাদের উৎসব পূর্ণ হয়? কিন্তু এই বছর সেই পদ্মার ইলিশ নিয়েই উঠেছে বড় সড় টানাপড়েন। কলকাতার এক অভিজ্ঞ মাছ ব্যবসায়ী ক্ষোভের সুরে বললেন, আমরা ভেবেছিলাম এ বছর অন্তত ৩০০০ টন ইলিশ আসবে।

 

কিন্তু বাস্তবে যা দেয়া হচ্ছে তাতে দামের আগুন লাগবেই। তার কথার মধ্যেই যেন ধরা দিল হাজারো ক্রেতার আশঙ্কা। কেন এমন পরিস্থিতি? জানা যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মাত্র ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। গত বছর যেখানে ২৪২০ টন ইলিশ গিয়েছিল কলকাতায় সেখানে এবছর অর্ধেকও নয়। ফলে চাহিদা আর যোগানের এই ফারাক যেন উৎসবের আনন্দে ছায়া ফেলছে। বাংলাদেশের প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে বরিশাল বিভাগে জুন মাসে ইলিশের শিকার প্রায় ৭০০০ টন কমেছে। জুলাই মাসেও ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই রপ্তানি সীমিত করা হয়েছে।

 

 

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কাছে ইলিশ কেবল মাছ নয় এক আবেগ। বিশেষ করে ভাদ্র সংক্রান্তি বা অরণধন উৎসব কিংবা দুর্গাপূজা এইসব মুহূর্তে পদ্দার ইলিশের কাঁটা বোঝায় প্লেট যেন উৎসবের আনন্দকে দ্বিগুন করে তোলে। তাইতো কলকাতার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মৎস দপ্তরের আধিকারিক পর্যন্ত সকলেই দামের উল্লম্পন নিয়ে চিন্তিত। গত বছর যেখানে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের দাম ছিল ১৬০০ থেকে ২০০০ রুপির মধ্যে এবছর সেটি নূন্যতম ২৫০০ রুপি থেকে শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা। ইতোমধ্যে কলকাতার পাইকারি বাজারে সেই চাপ অনুভূত হচ্ছে।

 

এই কথা ভেবে কলকাতার বাঙালিদের জীভ শুকাচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর আর হাওড়ার বাজারে স্থানীয় ইলিশের সরবরাহ চোখে পড়ার মত কমেছে। এক মৎসজীবী সংগঠন দাবি করছে বড় মাপের ইলিশ শিকার গত বছরের তুলনায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কম। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে গুজরাট।

 

জানা গেছে এবছর ভরুচু অঞ্চল থেকে প্রায় ৪৫০০ টন ইলিশ এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। যদিও দাদাদের মন ভরাতে পদ্মার ইলিশের বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। শেখ হাসিনার আমলে প্রতিবছর দুর্গাপূজার আগে ইলিশ রপ্তানি এক প্রকার কূটনৈতিক রীতিতে পরিণত হয়েছিল। সেই ইলিশ কূটনীতিআজও ভারতের অনেকের স্মৃতিতে সতেজ। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নীতিতে পরিবর্তন আসে।

 

পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ী সবার মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কারণ উৎসবের দিনে ইলিশ ছাড়া বাঙালির রান্নাঘর যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। পশ্চিমবঙ্গে এখন প্রশ্ন একটাই এই ১২০০ টন ইলিশ কবে এসে পৌঁছাবে? বাজারে কি দাম উঠবে? আর কতটা সাধারণ ক্রেতার নাগালের মধ্যে থাকবে? উত্তর পেতে এখনো কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু একটা ব্যাপার প্রায় নিশ্চিত। এবার দুর্গাপূজায় পদ্দার ইলিশের স্বাদ নিতে হলে কলকাতার সাধারণ বাঙালির পকেট থেকে বেরোবে আরো অনেক বেশি রুপি।  

মন্তব্য করুন


Link copied