আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ● ৩০ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২৫
হাসিনার উল্টো সুর, এখন বলছেন—‘উৎখাতের পেছনে আমেরিকার হাত নেই’

হাসিনার উল্টো সুর, এখন বলছেন—‘উৎখাতের পেছনে আমেরিকার হাত নেই’

ভারতকে খুশি করতে বারবার অস্ত্র উদ্ধার নাটক হাসিনার

ভারতকে খুশি করতে বারবার অস্ত্র উদ্ধার নাটক হাসিনার

অভ্যুত্থানের সপক্ষের দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে মহাবিপদ: ড. ইউনূস

অভ্যুত্থানের সপক্ষের দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে মহাবিপদ: ড. ইউনূস

জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় মিলেছে

জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় মিলেছে

করোনায় মৃত্যু ৫, শনাক্ত ২৫৭

শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২, দুপুর ০৪:৪৭

Advertisement

ডেস্ক: দেশে একদিনের ব্যবধানে করোনায় মৃত্যু আবারো বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১০৫ জনে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৫৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ৩২৭ জন শনাক্ত হয়েছিল। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫ জনে। শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮৬।   

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫ জনই পুরুষ।তারা সবাই ঢাকা বিভাগের। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৯৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯৪ জন।

এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮৬০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৩ হাজার ৮০১টি। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। 

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে।  ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। 

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। 

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ। 

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল।  কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করে।  সম্প্রতি সে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। 

মন্তব্য করুন


Link copied