আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

কালের সাক্ষী মাহিগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি

রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, দুপুর ১২:০৪

Advertisement Advertisement

রিদওয়ানুল তানভীর শুভ :  ঐতিহ্যবাহী মাহিগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিটি এখন শুধুমাত্র স্মৃতি হয়ে আছে। কারণ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এর ভবনটিও ধসে পড়ার অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

 

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, রংপুরের আদি শহর ছিল মাহিগঞ্জ। মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাজহাট জমিদার গোপাল চন্দ্র  রায় ১৮৮০ সালে মাহিগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন। অনেক মূল্যবান ও দুর্লভ বই ছিল এ লাইব্রেরিতে। যার সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের বেশি। পাঠকের পদচারণায় মুখরিত থাকত এটি। একে ঘিরেই তখন সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা হত। লাইব্রেরির মাঠে সপ্তাহজুড়ে চলত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, যাত্রাপালা। অনুষ্ঠানে জমিদার গোপাল চন্দ  রায় অতিথি থাকতেন।

 

বিশিষ্ট সাংবাদিক হাসেম আলী জানান, এই পাবলিক লাইব্রেরি পরিদর্শন করতে এসেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, কথা সাহিত্যিক শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শেরে বাংলা একেএম ফজলুল হক, পল্লী গানের সম্রাট আব্বাস উদ্দিনসহ পশ্চিবঙ্গের অনেক গুণী সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজসেবী আবদুল ওয়াহাব জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী লাইব্রেরিটিকে ধ্বংস করে। তারা এটিকে রাজাকারদের ক্যাম্প বানায়।

 

আর রাজাকাররা লাইব্রেরির বই জ্বালিয়ে রান্না-বান্নার কাজ করেছে। তিনি আরও জানান, দেশ স্বাধীনের সময় এ লাইব্রেরির আরও ক্ষতি করা হয়। স্বাধীনতার পর অবশ্য লাইব্রেরিটি চালু করা হয়েছিল। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। আবার চালু করা হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালে পুরো বন্ধ হয়ে যায়। ১৪৪ বছরের প্রাচীন এই  লাইব্রেরি এখন ধ্বংসের শেষ অবস্থায় রয়েছে। ভবনটিও যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে। সাংস্কৃতিককর্মী জাহাঙ্গীর আলম আঙ্গুর বলেন, পাবলিক লাইব্রেরি ভবনটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা উচিত। পুনরায় এটি চালু করে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।

 

উত্তর বাংল/ তানভীর

মন্তব্য করুন


Link copied