স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি কারবালার ডাঙ্গার ধাইজান নদীর তীর থেকে বালু চাপা দেয়া অর্ধগলিত অজ্ঞাত যুবকের লাশ গত ২৭ আগষ্ট দুপুরে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ৮ দিন পর সোমবার (৪সেপ্টেম্বর) সেই লাশের পরিচয় উদঘাটন করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায় অর্ধগলিত বিকৃত হয়ে যাওয়া অজ্ঞাত লাশটি উপজেলার ওই ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি বাসোপাড়া গ্রামের একরামুল হকের একমাত্র ছেলে মোর্শেদুল হক(৩৫)।
সুত্র মতে, জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপ ও লাশের আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে মোর্শেদুলের লাশ চিহিৃত করা হয়েছে। পাশাপাশি ময়না তদন্ত রির্পোটে হত্যার আলামত চিহিৃত করা হয়। এ ঘটনার বাদী পুলিশ।
পারিবারিক সুত্র মতে, মোর্শেদুল হক একজন পরিবহন শ্রমিক। সে সপ্তাহে দুইদিন বাসায় আসে। গত ২৪ আগষ্ট সন্ধ্যায় মোর্শেদুল বাসায় আসে। ওইদিন রাত ৯টায় তার মোবাইলে কে বা কারা ফোন দেয়। এরপর সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মোর্শেদুলের বাবা একরামুল হক ২৬ আগষ্ট কিশোরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন।
২৭ আগষ্ট দুপুরে উত্তর দুরাকুটি কারবালার ডাঙ্গার ধাইজান নদীর তীর থেকে বালু চাপা দেয়া লাশ কুকুর ট্রেনে বের করায় এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। সে সময় লাশের পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশবাদী হয়ে একটি হত্যামামলা দায়ের করে। এঘটনায় দুজন ব্যাক্তিকে থানায় এনে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেয়।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি রাজীব কুমার রায় বলেন, মোর্শেদুল হকের খুনের তদন্ত চলছে। তার পরিচয় পাওয়া গেছে। খুনের মোটিভ উদ্ধারসহ আসামীদের কিছুদিনের মধ্য চিহিৃত করে গ্রেপ্তার করতে পারবো বলে তিনি উল্লেখ করেন।