প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম: গাছের উপর উঠে শুয়ে আছে আস্ত একটি অজগর সাপ। দেখে হতবাক স্থানীয়রা। খবর ছড়িয়ে পড়লে সাপটিকে দেখতে ছুটে আসেন শত শত নারী, পুরুষ-শিশুসহ উৎসুক জনতা। এ সাপের উপস্থিতি নিয়ে চলছে নানা জলপনা কল্পনা। কোথা থেকে এলো কেমনে এলো। এর সঙ্গী আরো সাপ আছে কিনা সে আতংক গ্রামবাসীদের মধ্যে দানা বেঁধেছে। চলছে নানা কানাঘুষা।
ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের আগমনী বাজারের পাশে ভেলং নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে। খোকসার গাছের ডালে দেখতে পাওয়া যায় এ অজগর সাপটিকে। গাছের সবুজ রঙের পাতার সাথে মিশে ছিলো সাপটি।
স্থানীয় অধিবাসী দুলাল মিয়া জানান, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে গ্রামের কাঁচা সড়ক দিয়ে ক্ষেতে শাক তুলতে যাওয়ার সময় গাছটির গোড়ায় প্রায় ১০ ফুটের একটি অজগর সাপকে শুয়ে থাকতে দেখে বাবু (১৩) নামে এক শিশু। তার চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন ছুটে আসে। এসময় স্থানীয়দের সোরগোলে ভয় পেয়ে যায় সাপটি। লোক সমাগম বাড়লে সাপটি খোকসার গাছের উঠে একটি ডালে শুয়ে পরে। এসময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে। অজগর সাপ গাছে ওঠার খবর ছড়িয়ে পড়লে সাপটিকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসেন দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সের শত শত মানুষ। এর আগে অজগর সাপ গাছে উঠার ঘটনা দেখেনি তারা।কাঁঠালবাড়ী ইউপি মেম্বার আলতাফ হোসেন জানান, ওই এলাকায় বন -জংগল না থাকলেও বিগত সময়ের কোন বন্যায় পার্শ্ববর্তী ধরলা নদী থেকে সাপটি উঠে আসতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। তবে সে নদীর দূরত্ব অনেক আর এবার বন্যাও হয়নি। তাই সাপের উপস্থিতি নিয়ে কেউ কোন হিসাব মেলাতে পারছেন না।খবর পেয়ে গ্রীন ভিলেজ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার আব্দুর রশীদের নেতৃত্বে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী সাপটিকে উদ্ধার করেন। পরে বন বিভাগের সহযোগীতায় সাপটিকে বস্তায় ভরে বন বিভাগের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। আলোচনা করে সাপটিকে নিরাপদে স্থানে অবমুক্ত করার কথা জানান তারা। গ্রীন ভয়েস এর আব্দুর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।কুড়িগ্রাম বন বিভাগের সেবাকর্মী আশরাফুল ইসলাম অজগর সাপটি তাদের হেফাজতে আছে নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, উদ্ধার হওয়া ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাপটির আনুমানিক বয়স ১০ বছর হতে পারে। এটি শীঘ্রই কোন নিরাপদ স্হানে অবমুক্ত করা হবে।