মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর ॥ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে হবে। রোজার সময় মাছ-মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়। সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। শনিবার (৩০শে নভেম্বর) নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইকু হ্যারিটেজ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট-এ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রতিবছর গোরুর ক্ষুরা রোগের কারণে অনেক খামারি বিপদে পরেন। এজন্য ফুট-অ্যান্ড-মাউথ ডিজিজ (এফএমডি) ভ্যাকসিনের ঘাটতি পূরণে সরকার কাজ করছে। তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতে উপদেষ্টা বলেন, তামাক একটি নেশাজাতীয় দ্রব্য। যা মানুষের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
এজন্য তামাক চাষের বিপরীতে ভুট্টা চাষ করলে গো-খাদ্যের ঘাটতি পূরণে তা সহায়ক হবে। অবৈধ্য জাল বন্ধের উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবৈধ জালের জন্য শুধু জেলেদের শাস্তির ব্যবস্থা করলেই হবে না, অবৈধ্য জাল তৈরির কারখানা বন্ধ করতে হবে। জেলেদের জীবনমান উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার জেলের জীবনমান উন্নয়নে স্মার্ট নিবন্ধন কার্ড বিতরণ করেছে। এই কার্ডধারীদের সংশ্লিষ্ট সকল অনুদান প্রদান করা হবে। তিনি মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের কমকর্তাদের প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিগণের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
নীলফামারীর জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর রংপুরের পরিচালক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক মোঃ সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে মৎস্য অধিদপ্তর রংপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ মনজুরুল ইসলাম মৎস্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার মৎস্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।