ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। হঠাৎ এই মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের চাঁদপুর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদরের দেবীপুর ইউনিয়নের কালেশ্বরগাঁও খরমখা ডিঘি আদর্শ গ্রামের মৃত ফজির উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম বিশু (৪৮) এবং পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বটতলী কালিয়াগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মনসুর আলীর স্ত্রী দুখিনী বেগম (৬০)। জানা গেছে, তারা দুজনই আপন ভাইবোন।
আর আহত ব্যক্তি হলেন রাজাগাঁও ইউনিয়নের পাটিয়াডাঙ্গী কালেশ্বরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বাহার আলীর ছেলে মুকুল ইসলাম (৩০)। তিনি বর্তমানে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ব্যটারিচালিত অটোরিকশাতে করে বাড়ি ফিরছিলেন রফিকুল ইসলাম বিশু ও তার বোন দুখিনী বেগম। রাজাগাঁও ইউনিয়নের চাঁদপুর এলাকায় পৌঁছালে নামাজপাড়া বাজারের দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা কাঁচামালবোঝাই একটি নসিমনের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুখিনী বেগম।
গুরুতর আহত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম ও অটোর চালক মুকুলকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পর নসিমনচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পাটিয়াডাঙ্গীর এলাকার মমিন বলেন, হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরছিল। এটা শুনে আমাদের আরও কষ্ট লাগছে। কে জানত ফিরতি পথে এমন বিপদ অপেক্ষা করছে।
স্থানীয় দোকানদার মফিজুল বলেন, রাস্তাটা একটু ব্যস্ত সময় ছিল। গাড়িটা বেপরোয়া গতিতে আসছিল বলে মনে হয়। না হলে এমন ভয়ংকর দুর্ঘটনা হতো না।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। দুই ভাইবোনের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নসিমনটি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা যাচাই করতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা সব দিক আমরা খতিয়ে দেখছি। দায়ী ব্যক্তি বা চালককে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে।