নিউজ ডেস্ক: কুড়িগ্রামের সর্বশেষ ছয় জেলা প্রশাসকের মধ্যে চারজনই নারী—এমন ঘটনার ফলে জেলায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, এতে কোনো বিশেষ নীতি বা সিদ্ধান্ত নেই; বিষয়টি পুরোপুরি কাকতালীয়।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে কুড়িগ্রামের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অন্নপূর্ণা দেবনাথ। তিনি ভূমি সংস্কার বোর্ডে উপভূমি সংস্কার কমিশনার ছিলেন। প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন উপসচিব আমিনুল ইসলাম।
এর আগে কুড়িগ্রামে দায়িত্ব পালন করেছেন তিন নারী জেলা প্রশাসক—সিফাত মেহনাজ, নুসরাত সুলতানা,সুলতানা পারভিন। এ ছাড়া দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ ও রেজাউল করিম।
স্থানীয় সাংবাদিক, নারী নেত্রী ও নাগরিক সমাজের নেতারা বলছেন, নারী নেতৃত্ব জেলাজুড়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে নুসরাত সুলতানার চরাঞ্চল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদাহরণ টানেন অনেকে।জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ আড়াই মাস আগে যোগদান করেন। তিনিও অল্প সময়ে কুড়িগ্রামের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছিলেন।
জেলা মহিলাদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক নাজমুননাহার বিউটি বলেন, “এটি নারীদের ক্ষমতায়নের শক্তিশালী প্রতিফলন। মেয়েরা অনুপ্রাণিত হচ্ছে।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের যুগ্মসচিব মো. রাহেদ হোসেন বলেন, “এটি কাকতালীয়। কুড়িগ্রাম নারী ডিসির জন্য নির্ধারিত জেলা নয়। সবাই তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পেয়েছেন।”
স্থানীয়রা মনে করছেন, নতুন ডিসি অন্নপূর্ণা দেবনাথও পূর্বসূরিদের ধারাবাহিকতায় জেলার উন্নয়ন অগ্রগতি আরও এগিয়ে নেবেন