আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩ ● ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা       আদানির কেন্দ্র থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু       নীলফামারীতে মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম রাজস্ব খাতে নিতে স্বারকলিপি প্রদান       নীলফামারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন       নীলফামারীতে শিশু শ্রম নিরসন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত      

ডিমলায় ফসলি জমিতে নদী খনন এলাকাবাসীর বাঁধা, সংঘর্ষে আহত ২০

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩, রাত ০৮:৪০

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিন ফসলি কৃষিজমি ও খেতের ফসল নষ্ট করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নদী খননে এলাকাবাসী আবারও বাঁধা দিয়েছে। বৃহ¯পতিবার(২৫ মে) দুপুরে উপজেলার বুড়িতিস্তা নদীর রামডাঙ্গা এলাকায় এ সময় পাউবো ও ঠিকাদারের লোকজনের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দুইজন সহ ২০ জন কৃষক আহত হন। পরে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 
জমির মালিক আহতরা হয়রানীর হাত থেকে বাঁচতে অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছে। আর ঠিকাদারের আহত দুইজন জাহাঙ্গীর আলম(২৫) ও ইদ্রিস আলী(৩২) ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কৃষি জমিতে জলাধার খনন নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরোধ চলে আসছে। উপজেলার বালাপাড়া ও সদর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বুড়িতিস্তা নদী বয়ে গেছে। পাউবো কর্তৃপ জলাধার খননের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯৯ কোটি টাকা। একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদী ও জলাধার খননের কাজ শুরু করে। এতে নদী এলাকায় চাষাবাদ করা মানুষ আপত্তি তোলেন। একপর্যায়ে এলাকাবাসী তাঁদের জমি রার দাবিতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে। 
গ্রামবাসীর দাবি, নদী এলাকায় হাজার হাজার মানুষের পৈতৃক ও ক্রয়সূত্রে পাওয়া জমি রয়েছে। এসব জমি কেটে অপরিকল্পিতভাবে অস্তিত্ব না থাকা নদী বানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এছাড়া নদী খননের নামে সরকারি বালু নিলাম ছাড়াই বিক্রি করছে ঠিকাদার। প্রতিবাদ করলেই ঠিকাদারের লোকজন গ্রামবাসীর উপর হামলা করে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
রামডাঙ্গা গ্রামের সবিতা রানী, পারভীন আক্তার, নুর আলম, রুবি আক্তার সহ অন্তত ২০ জন বাসিন্দা বলেন, কাগজপত্র অনুযায়ী তাঁরা জমির মালিক। সেখানে নদী না থাকলেও তাঁদের জমি কেটে নদী করা হচ্ছে। খননকাজে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু মূল নদী বাদ দিয়ে কৃষি জমিতে ফসল নষ্ট করে খননকাজ চলছে।  নদী খননের নামে মাটি ও বালু বিক্রিই তাদের মূল উদ্দেশ্য। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শতশত ট্রলিতে নদী খননের বালু বিক্রি করছে ঠিকাদার ও পাউবোর লোকজন। এতে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 
এ বিষয়ে নীলফামারী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, সংঘর্ষ আমাদের ল্য নয়। সবার সাথে সমন্বয় করে আমরা খনন কাজ এগিয়ে নিতে চাই । এসব বিষয় নিয়ে আগেও গ্রামবাসীর সাথে কথা হয়েছে। আমরা সবার সহযোগিতায় সমন্বয় করে খননকাজ করার চেষ্টা করবো। 
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লাইছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঠিকাদারের আহত দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মন্তব্য করুন


 

Link copied