স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান ও পরবর্তীতে প্রকাশ্যে গ্রাম্য বিচার সালিশের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে আশিকুর রহমান(৩৮) নামে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে জহুরা বেগম(৩৮) নামে এক গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার(১৭ অক্টোবর) পুলিশ লাশ উদ্ধার করে দুপুরে জেলা মর্গে ময়নাতদন্ত করেছে।
নিহত জহুরা বেগম উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মেলা পাঙ্গা মাস্টার পাড়ার রহিদুল হাসানের স্ত্রী, তিন সন্তানের জননী ও মৃত জহির উদ্দিনের মেয়ে। আর হত্যাকারী আশিকুর রহমান একই ইউনিয়নের উত্তর ডাঙ্গা পাড়ার বজলার রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর হত্যাকারী আশিকুর পালিয়ে গিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিন বিকালে উক্ত ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ছোট বোন জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে ডোমার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী গ্রামের উত্তর ডাঙ্গাপাড়ার দুই সন্তানের জনক আশিকুর রহমান (৩৮) বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে ঝগড়া-বিবাদ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন জহুরা বেগমকে। এমনকি তাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেয় আশিকুর। শুক্রবার(১৭ অক্টোবর)রাত অনুমান সাড়ে ১২টার দিকে আশিকুর রহমান অজ্ঞাত ২/৩ জন নিয়ে নিহতের শোয়ার ঘরের টিনের চালায় শব্দ করতে থাকে ও জহুরা বেগমকে গালাগাল করতে থাকে। জহুরা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে আশিকুর রহমানকে গালাগাল করতে নিষেধ ও চলে যেতে বললে, আশিকুর ক্ষিপ্ত হয়ে জহুরা বেগমের পেটে ও বাম ডান পাঁজরে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তার চিৎকার শুনে স্বজনরা ও প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় জহুরা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৩টায় জহুরা বেগম মারা যান।
নিহতের বোন জেসমিন আক্তার বলেন, বিভিন্ন সময় আশিকুর তাঁর বোনকে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। আমার বোন তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক সময় আশিকুর আমার বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এনিয়ে গ্রাম্য বিচারে আশিকুর নিজের ভুল শিকার করে ক্ষমা চাইলেও সে ভিতরে ভিতরে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বোনকে হত্যা করে। আমরা বোন হত্যার বিচার চাই।
ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।