স্টাফ রির্পোটর,নীলফামারী॥ নুরন্নবী(২৮) ও শিল্পী আক্তার(২৩) রাজধানীর একটি তৈরী পোষাক কারখানায় কাজ করতো। সেখানেই তাদের পরিচয় এবং প্রেম। এরপর গত ৫ মাস আগে তারা বিয়ে করে। উভয় পরিবার এই বিয়ে মেনেও নেয়। এ অবস্থায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃস্টি হয় রাগ করে স্ত্রী চলে এলো বাবার বাড়ি। ক্ষিপ্ত স্বামী এসে স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলো। পালিয়ে যাবার সময় গ্রামবাসীর হাতে আটক হলো স্বামী। আর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন স্ত্রী।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত সারে ৯টার দিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ী গ্রামের মাহিমাগঞ্জ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। এদিকে এলাকাবাসীর হাতে আটক স্বামী নুরন্নবীকে রাতেই উদ্ধার করে ডোমার থানায় নিয়েছে পুলিশ।
স্বামী নুরন্নবী নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের টুপামারী দক্ষিনপাড়া গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে। স্ত্রী শিল্পী বেগম জেলা ডোমার উপজেলার মাহিগঞ্জ ডাঙ্গা পাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে।
জানা যায়, সাংসারিক কলহের কারনে দুই দিন আগে স্ত্রী তার বাবার বাড়ি চলে যায়। ঘটনার দিন সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে নুরন্নবী শ্বশুড়বাড়ি যায়। স্ত্রীকে সে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু স্ত্রী আর যাবেনা বললে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। এ অবস্থায় রাত ৯টার দিকে স্বামীকে রাতের ভাত খেতে ডাকে স্ত্রী। তখনি শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর মুল বিবাদ। স্বামী বলে উঠে আমার সাথে ফিরে না গেলে সে ভাত খাবেনা। আর স্ত্রীর সাফ কথা সে স্বামীর সংসার করবেনা- তাই সে যাবেনা। এরপর ক্ষিপ্ত স্বামী রান্না ঘরে থাকা তরকারি কাটা ছুরি হাতে নিয়ে স্ত্রীর গলায় ও ঘারে টান মারে। এরপর দৌড়ে পালাতে গিয়ে পাশ্ববর্তী তেলিপাড়া গ্রামের মানুষজন তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে। এদিকে গুরুত্ব আহত স্ত্রী শিল্পীকে ডোমার উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায় পরিবার। সেখান থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
শিল্পীর বাবা জানান, ঘটনার কিছুক্ষন আগে আমি মাহিমাগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফিরে আসি। জামাই নুরন্নবী আমার সাথে ভালমন্দ কথা বললো। এ সময় আমার মেয়ে তাকে রাতের ভাত খেতে ডাকে। সেখানে কি হতে কি হলো বুঝার আগেই দেখি রক্তে রক্তাত্ব আমার মেয়ে চিৎকার করছে আর জামাই দৌড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলো।
ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, নূরনবী তার স্ত্রীর গলাকেটে দিয়েছে। সে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময়ে স্থানীয়রা তার শরীরে রক্ত দেখে শিমুলতলী তেলিপাড়া বাজার এলাকায় ধরে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলমান।