আর্কাইভ  বুধবার ● ১৬ জুলাই ২০২৫ ● ১ শ্রাবণ ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ১৬ জুলাই ২০২৫
জুলাই স্মরণে ‘রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাবি

জুলাই স্মরণে ‘রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাবি

মধ্যরাতের আকাশে ভেসে উঠল ‘জুলাই স্মৃতি’

মধ্যরাতের আকাশে ভেসে উঠল ‘জুলাই স্মৃতি’

চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার

জুলাইয়ের দিনগুলি: ১৩ জুলাই

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
জুলাইয়ের দিনগুলি: ১৩ জুলাই

তিস্তা ব্যারেজর বাঁধে ধস, নদীর গতিপথ উল্টো দিকে যাওয়ার সম্ভবনা

শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪, বিকাল ০৫:২৬

Advertisement

জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না: দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের পাশে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা শহর রক্ষার্থে চন্ডিমারী বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই বাঁধ মেরামত করা না গেলে বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। এতে তিস্তা নদীর গতিপথ উল্টো দিয়ে চলে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকগণ ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে বাঁধের এ ধস দৃশ্য দেখতে পায়। এর আগে গত বুধবার বিকেলে এ ধস দেখতে পায় স্থানীয়রা।

জানা গেছে, তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাসের পাশে সাধুরবাজার হইতে দক্ষিন দিকে হাতীবান্ধা শহর রক্ষার্থে একটি বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধটি এলাকায় চন্ডিমারী বাঁধ নামে পরিচিত। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সেই বাঁধে ৬০/৭০ ফিট অংশ ধসে যাচ্ছে। বাঁধের জিও ব্যাগ গুলো বৃষ্টির পানিতে ভেসে যাচ্ছে কয়েকদিন ধরে। সেই সাথে পানি কমে যাওয়ার ফলে ভাঙ্গন বেড়ে গেছে কয়েক গুন।

তিস্তা পাড়ের লোকজনের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পরিদর্শন করে গেছেন। কিন্তু এখনো বাঁধ রক্ষায় জরুরী কাজ শুরু না হওয়ার কারণে তারা আতংকিত হয়ে পড়েছে। এ বাঁধ ভেঙ্গে গেলে তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে উল্টো দিকে যাবে। এতে হাতীবান্ধা শহরে তিস্তা নদী ঢুকে পরার সম্ভবনা রয়েছে। হারিয়ে যেতে পারে জেলার মানচিত্র থেকে হাতীবান্ধা উপজেলাটি।

ইতিমধ্যে বাঁধের ধসের স্থান দিয়ে পানি যাওয়া শুরু হয়েছে। এখনই ব্যবস্থা নেয়া না হলে হয়তো কয়েকদিজের মধ্যে আমাদের বাড়ি-ঘর তিস্তার গর্ভে চলে যাবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাস আলী জানান, তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। ইতিমধ্যেপানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাঁধের ধসের স্থানটি পরিদর্শন করে গেছেন। দ্রুত কাজ শুরু হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ দৌলা জানান, হঠাৎ করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied