আর্কাইভ  শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ● ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরে ১২ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫       আহতরা যেই দলেরই হোক, চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী       ২৭শে জুলাই রংপুর বিভাগের আট জেলায় কারফিউ শিথিল       সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের       "শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে"      

 width=
 

দীর্ঘ ২৪ বছর কোথায় ছিলেন আশিষ রায় চৌধুরী?

বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২, সকাল ০৮:১৩

ডেস্ক: দীর্ঘ ২৪ বছর পর অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেন আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। চাঞ্চল্যকর চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি।

তাকে গ্রেফতারের সময় রাজধানীর গুলশান এলাকায় ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামের বাসায় অভিযান চালিয়ে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। মামলায় তাকে পলাতক দেখানো হলেও এ ব্যক্তি ছিলেন প্রভাবশালীদের সংস্পর্শে।

প্রশ্ন উঠেছে, গত ২৪ বছরে কোথায় ছিলেন আশিষ রায় চৌধুরী?

অভিযানের পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ২৪ বছর ধরে সবার চোখের সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়িয়েছেন আশিষ। দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ছিল তার অবাধ যাতায়াত। তিনি একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন পদে ছিলেন। সর্বশেষ একটি সনামধন্য এয়ারওয়েজের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হিসেবে বিমানবন্দরের ভেতরে নিয়মিত যাতায়াত করতেন আশিষ। বিমানবন্দরে প্রবেশের ডিউটি পাস রয়েছে তার কাছে। আর এই সুবিধা নিয়ে প্রভাবশালী ও রাজনীতিবিদসহ ভিআইপিতের বিমানবন্দরে সেবা দিতেন তিনি। এভাবেই ভিআইপিদের সান্নিধ্য পেতেন আশিষ। 

বিমানবন্দর ও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নানা অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যেত নিয়মিতই। বিমান ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ঊধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি আছে তার। তার বাসা থেকে দুই রকম নামে বাংলাদেশ ও কানাডার আলাদা দুটি পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে অভিযান চালিয়ে আশিষকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুই নারীকে আটক করা হয়। বিপুল পরিমাণ মদের বোতলও জব্দ করা হয়।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযানে গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামের ওই বাসা থেকে আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতারের সময় দুজন নারীকে আটক করা হয়েছে। আশিষসহ এ দুই নারীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‍্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বুধবার জানানো হবে।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, আশিষ রায়ের বাসায় বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। এসব দামি মদ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে আশিষ বাসায় মিনি বার গড়ে তুলেছেন। তার এই মিনি বার থেকে প্রায় ১৯-২০টি দেশি-বিদেশি নানা ব্র্যান্ডের মদের বোতল জব্দ করা হয়েছে। নিজের মিনি বারে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে নিয়মিত মদের আসর বসাতেন আশিষ। এছাড়া তার মিনি বারে শিশা সেবনের নানা উপকরণও পাওয়া গেছে।  

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। গোয়েন্দা পুলিশ ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

এ মামলায় কারাগারে আছেন তারিক সাঈদ মামুন ও হারুন অর রশীদ। আর পলাতক রয়েছেন আসামি আজিজ মোহাম্মদ ভাই, সানজিদুল হাসান ইমন ও সেলিম খান।

মন্তব্য করুন


 

Link copied