আর্কাইভ  শনিবার ● ১২ জুলাই ২০২৫ ● ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ১২ জুলাই ২০২৫
সারা দেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
সারা দেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা

সারা দেশ উত্তাল ছিল ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
সারা দেশ উত্তাল ছিল ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে

‘পানি খাওয়াতে মিরপুর থেকে এসে ফার্মগেটে হিটস্ট্রোক করেন আঙ্কেল’

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
‘পানি খাওয়াতে মিরপুর থেকে এসে ফার্মগেটে হিটস্ট্রোক করেন আঙ্কেল’

সড়ক-রেলপথ অবরোধ, শাহবাগে কর্মসূচি

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
সড়ক-রেলপথ অবরোধ, শাহবাগে কর্মসূচি

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দায়িত্ব নিচ্ছেন কাদের নাকি সুশান্ত!

শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, রাত ০৯:১৮

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের এই ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার ও সরকার পতন আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা ’হত্যা’ ও অসংখ্য মানুষের ‘জীবন বিপন্ন‘ করা এবং বিভিন্ন সময় ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী ‘সন্ত্রাসী সত্তা‘ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ ’বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল।

প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের কারণ হিসেবে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগঠনটির বিভিন্ন সময়ের ‘সন্ত্রাসী’ কার্যকলাপের বিষয়ে তুলে ধরা হয়।

ছাত্রলীগ নিষেদ্ধের পর থেকেই মূলত নিষিদ্ধ এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা পলাতক রয়েছেন বেশির ভাগই।ইতোমধ্যে আওয়ামী অনেকে বলছেন তাহলে এই নিষিদ্ধ সংগঠনের দায়িত্ব কি কেউ নিচ্ছেন না।সম্প্রতি আওয়ামী লীগের এক নেতার ফেসবুক বার্তার পরপরই  বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।যেখানে নিষিদ্ধ সন্ত্রাশী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ জড়িত সেখানে তিনি কিভাবে ছাত্রলীগের পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্ট করছেন,তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।১ নভেম্বর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টটি জনকণ্ঠের পাঠকদের জন্য হুবহ তুলে ধরা হল।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম ও সেক্রেটারী ইনানের সাথে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং তারা সর্বতভাবে দেশ ও দলের জন্য কাজ করছে। যদি কারো সাথে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগ, মহিলা লীগ, মহিলা যুবলীগসহ অন্যান্য সংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারী অথবা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ থাকে, দয়া করে আমাদের একটু জানাবেন। আমরা উনাদেরকেও পাশে চাই।উল্লেখ্য, সাদ্দাম ও ইনানের ফেসবুক আইডি/পেজ হিজবুতি বাছুরগুলো ডাউন করে রেখেছে। এগুলো রিকভারি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শীঘ্রই এদের আইডি/পেজ একটিভ করা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছি।

সুশান্তের ফেসবুক ঘাটলে দেখা যায় সুশান্ত এবং অমিয় রহমান পিয়াল ছাত্রলীগের অনলাইন ভিত্তিক প্লাটফর্ম এ টিমের কার্যক্রম চালাচ্ছে।উল্লেখ্য এই সুশান্তের পুরো নাম হল,সুশান্ত দাশ গুপ্ত।তিনি ২০২৪ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য।

অন্যদিকে তার এই অনলাইন সমন্বয়ের ফলে অনেকে মনে করছেন নিষিদ্ধ এই ছাত্র সংগঠনটির নেতা হতে চাচ্ছেন তিনি।অন্যদিকে জেন জি জেনারেশন সহ অন্যরা বলছেন তাকে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

অন্যদিকে আরেকটি মহল বট আইডি থেকে প্রচারণা চালাচ্ছে নিষিদ্ধ এই ছাত্র সংগঠনটির দায়িত্ব নিচ্ছেন কাদের।উল্লেখ্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন কাদের।তাই এখন তিনি এই নিষিদ্ধ সংগঠনের দায়িত্ব নিচ্ছেন কিনা এখনো তা স্পষ্ট নয়।

মন্তব্য করুন


Link copied