আর্কাইভ  বুধবার ● ৮ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ৮ অক্টোবর ২০২৫
‘আইতোত হঠাৎ করে নদীর পানি এক্কেবারে বাড়ি গেইল, ‘কেমন করি খাওয়া দাওয়া করমো, সেই চিন্তা বাহে’

তিস্তাপাড়ে হাহাকার
‘আইতোত হঠাৎ করে নদীর পানি এক্কেবারে বাড়ি গেইল, ‘কেমন করি খাওয়া দাওয়া করমো, সেই চিন্তা বাহে’

নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও কামাল

আইসিটি আইন সংশোধন
নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও কামাল

মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই : সারজিস আলম

মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই : সারজিস আলম

সংসদে নারীদের জন্য আলাদা ৩০০ আসনের প্রস্তাব

সংসদে নারীদের জন্য আলাদা ৩০০ আসনের প্রস্তাব

নীলফামারীর নীলসাগরে পাখিদের নিরাপদ অভয়াশ্রমের ব্যবস্থা করলেন ডিসি

শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪, বিকাল ০৬:৩৩

Advertisement

স্টাফ রির্পোটার,নীলফামারী॥ জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে নীলফামারীর বিন্যাদীঘির নীলসাগর পর্যটন কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রজাতের পাখিদের জন্য নিরাপদ অভয়াশ্রমের ব্যবস্থা করলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
শনিবার(৯ নভেম্বর) নীলসাগরের পর্যটন কেন্দ্রের গাছগুলোতে কলস বেঁধে দিয়ে পাখিদের আবাসস্থলের ব্যবস্থা করা হয়। সেই সাথে পাখিদের আহারে খাদ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ফারুক-আল-মাসুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হক সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, 'নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমছে। অবাধ বৃক্ষনিধনের কারণে পাখিরা তাদের নিরাপদ আবাসস্থল হারিয়েছে এবং খাদ্য সংকটের কবলে পড়েছে। ফলে পাখিদের স্বাভাবিক প্রজনন বিঘ্নিত  হচ্ছে। এছাড়া ফসল উৎপাদনে বিষাক্ত কীটনাশকের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পাখিদের মৃত্যুর হারও বেড়েছে। কালের পরিক্রমায় নানা ধরনের পাখি এখন প্রকৃতিতে দেখাই পাওয়া যায় না। সেই সঙ্গে শোনা যায় না পাখির কলরবও। তিনি আরও বলেন, পাখিদের বিচরণ ও নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করতে আমরা নীলসাগরের গাছগুলোতে কলস বেঁধে দিচ্ছি। যাতে করে পাখিরা তাদের নিরাপদ আবাসস্থল পায়। পাখিদের স্বাভাবিক প্রজনন বিঘ্নিত যেন না হয়। এছাড়াও এসব অভয়াশ্রমে পাখিদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হবে। 
উল্লেখ যে, জেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার অদুরে গোড়গ্রাম এলাকায় রয়েছে অষ্টম শতাব্দীর বিরাটরাজার বিন্যাদিঘি।  এখন নীলসাগর হিসাবে পরিচিত। এই দিঘিটি ৫৩ দশমিক ৯০ একর জমি ঘিরে। দিঘির চারিপাশে রয়েছে অসংখ্য গাছগাছালি। তাই অনেকে বলেন সবুজের সমারোহ। শীত মৌসুমে এই দিঘিতে দেখা মেলে পরিযায়ী পাখি। দলে দলে ঝাকে ঝাকে দিঘির জলে তারা মেতে উঠে। কিন্তু রাত হলে পরিযায়ীরা উড়ে যায় বিভিন্ন গাছে। রাত কেটে ভোর নামলেই আবার তারা দিঘির জলে নেমে পড়ে। তাই এবার জেলা প্রশাসন দিঘি ঘিরে সকল গাছে পাখিদের রাত্রী যাপনে শতশত মাটির হাড়ি বেঁধে  দিলেন। 

মন্তব্য করুন


Link copied