ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় সদর উপজেলা হাফিজাবাদ ইউনিয়নে দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে আবু বক্কর সিদ্দিক (২৪) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যেমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সন্ধায় পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যেমে হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আবু বক্কর সিদ্দিক উপজেলা হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বাটুভিটা নুরানী এতিম খানা ও মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার বাড়ি উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের দক্ষিণ জিন্নাত পাড়া এলাকায়। এর আগে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিককে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় মাদ্রাসার ভূক্তভোগী এক ছাত্রের বাবা রাতেই বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষনের অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই মাদ্রাসাটি ৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে মাদ্রাসা ছাত্রের (১২) বাবা তার ছেলে ও ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেকে (১০) হাফেজী পড়ার জন্য হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বাটু ভিটা নুরানী এতিম খানা ও মাদ্রাসায় ভর্তি করান। ওই দুই ছাত্রই মাদ্রাসাটিতে আবাসিকে থাকতো। গেল ২৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) ভোরে মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত ছাত্রকে (১২) তার নিজ রুমে ডেকে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বলৎকার করেন ওই শিক্ষক। এর আগে ওই মাদ্রাসাটির আরেক ছাত্রকে (১০) ২৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে বলৎকার করেন। পরে বিষয়টি ছাত্রদের মাধ্যেমে জানতে পারেন স্থানীয়রা।
২৮ জানুয়ারী (শুক্রবার) বিকেলে মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা (১২) স্থানীয়দের মাধ্যেমে বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসাটিতে ছুটে যান। পরে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সব স্বীকার করে ছাত্র দুইজনের বাবাদের নিকট ক্ষমা চান।
ভূক্তভোগী ওই ছাত্রের বাবার অভিযোগ করে জানান, ঘটনার পর থেকে আমি আমার ছেলে ও ভাতিজাকে বাসায় নিয়ে এসেছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।