আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩ ● ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: আদানির কেন্দ্র থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু       নীলফামারীতে মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম রাজস্ব খাতে নিতে স্বারকলিপি প্রদান       নীলফামারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন       নীলফামারীতে শিশু শ্রম নিরসন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত       নীলফামারী র‌্যাব-১৩ অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার      

প্রথম আলো গণতন্ত্র ও দেশের শত্রু: প্রধানমন্ত্রী

সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩, বিকাল ০৫:৩১

প্রথম আলোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু। প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু।’

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এখানে এমন একটি সরকার আনতে চাচ্ছে, যাদের গণতান্ত্রিক কোনো অস্তিত্বই থাকবে না, অগণতান্ত্রিক ধারা। এবং সেই ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী, বুদ্ধি বেচিয়া জীবিকা নির্বাহ করেন তারা, সামান্য কিছু পয়সার লোভে এদের তাবেদারি করে। একটি ৭ বছরের শিশুর হাতে দশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার মুখ থেকে ‌‘ভাত মাছ, মাংসের স্বাধীনতা চাই’ বলিয়ে সেটি রেকর্ড করে প্রচার করে। স্বনামধন্য একটি পত্রিকা, খুবই জনপ্রিয়। নাম তার প্রথম আলো। কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু। আমি এটা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলি যে, এরা এই দেশে কখনো স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তখন তারা উৎফুল্ল। দুটি পত্রিকা আদাজল খেয়ে নেমে গেল, বাহবা কুড়ালো। আর তার সঙ্গে রয়েছে একজন সুদখোর। যিনি আমেরিকার বড়ই প্রিয়। যিনি আমেরিকায় বিনিয়োগ করেন। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞেস করে না যে গ্রামীণ ব্যাংক, এটাতো একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। সরকারের বেতন তুলতো যে এমডি। সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে পেল, যে আমেরিকার মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করে, বিনিয়োগ করে। দেশে-বিদেশে করা এই বিনিয়োগের অর্থ কোথা থেকে আসে? এটা কি তাকে কখনো জিজ্ঞেস করেছে? জিজ্ঞেস করেনি। তাদের কাছ থেকে দুর্নীতির কথা শুনতে হয়। এদের কাছে মানবতার কথা শুনতে হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা গরিবের রক্তচোষা টাকা বিদেশে পাচার করে, নিজেরা বিনিয়োগ করে শতকোটি টাকার মালিক হয়, আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যায়। এইসব লোক এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে এসে নাকি কিছুই দেয়নি। দেশ নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা রক্ত দিয়ে, সংগ্রাম করে স্বাধীনতা এনেছি। এই স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়াটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। নিজেদের ভাগ্য গড়তে আসিনি।’

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র স্থায়ীভাবে পরিচালিত হয়েছে বলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’

এ সময় প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে, অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে তারা জাতিকে কি দিয়েছে? হ্যাঁ, তারা নিজেদের ভাগ্য গড়তে পেরেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের কথাও শুনতে হয়।’

মন্তব্য করুন


 

Link copied