নিউজ ডেস্ক: আজ ১৭ নভেম্বর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫৮তম বিবাহ বার্ষিকী। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ আলী মিয়ার (সুধা মিয়া) সঙ্গে। আর এই দিনেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে এলো তার মৃত্যুদণ্ডের রায়।
বিষটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব আলোচনা চলছে। বিবাহবার্ষিকীর দিনে সাজা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে একেকজন একেক ধরনের মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ বলছেন ঘটনা কাকতালীয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ড ও রাজসাক্ষী হিসেবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৫ বছরের সাজা ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন,
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। তবে মামুন জাতি এবং আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এ জন্য মৃত্যুদণ্ডের যোগ্য অপরাধ করলেও রাজসাক্ষী হিসেবে তার ৫ বছরের সাজা ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন– বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে দুপুর পৌনে ১টার সময় রায় পড়া শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান। ছয়টি অধ্যায়ে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার ভাগ করে পড়ে শোনান ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা। এজলাস থেকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)।