বিশেষ প্রতিনিধি॥ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবার আরও ২০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন উপহার দিচ্ছে যাচ্ছে বাংলাদেশকে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই প্রায় ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের ২০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন ঢাকার হাতে তুলে দেয়া হবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাস চলতি মার্চ মাসেই ইঞ্জিনগুলি বাংলাদেশে আসবে নিশ্চিত করেছেন রেলমন্ত্রী এাড নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি আরও জানান, চাহিদা অনুযায়ী আরও ইঞ্জিন উপহার দিতে রাজি ভারত সরকার। এতে বাংলাদেশের ইঞ্জিন সংকট কাটবে।
এদিকে, ২০২৪ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এই কাজ চলতি বছরের আগামী জুনেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গতবছর থেকে পদ্মার ওপর দিয়ে চলছে সকল ধরনের ভারী যানবাহন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিপ্লব এনে দিয়েছেন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার সহসাই পদ্মার ওপর দিয়ে চলবে রেলগাড়ি। গত মঙ্গলবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত রেলমন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সুত্র মতে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিদিন ৩৬৬টি যাত্রীবাহী আর ৫০টি পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিশাল এই কর্মযজ্ঞের জন্য রয়েছে মাত্র ২৬৩টি রেলইঞ্জিন, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এসব ইঞ্জিনের ৬৫ শতাংশই মেয়াদোত্তীর্ণ। যদিও বেশকিছু নতুন ইঞ্জিন কেনার কয়েকটি প্রকল্প আছে বাংলাদেশ রেলওয়ের। এ অবস্থায় বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে ভারত। তাই এবার ভারত সরকারের পক্ষে ২০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন বাংলাদেশকে উপহার দিতে যাচ্ছে।
উপহারের ইঞ্জিনগুলো বাংলাদেশর পক্ষে ইতোমধ্যে কারিগরি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আরও ২০টি আমাদের ব্রডগেজ দিচ্ছে ভারত, যা চলতি মাসেই হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এসব ইঞ্জিন ভারতে ২০১৭ বা ১৮ সালের দিকে তৈরি করা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসেই বাংলাদেশ আসবে উপহারের ইঞ্জিন।
এর আগেও ২০২০ সালে ২৬ জুলাই বাংলাদেশকে ১০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন উপহার দিয়েছিল ভারত। ভারতীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেওয়া ১০টি ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গেদে রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। এরপর গেদে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে রেল ইঞ্জিনগুলো। জয়নগর সীমান্ত পার হয়ে ইঞ্জিনগুলো বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বাংলাদেশের দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিনগুলো ফুল দিয়ে সাজানো ছিল। এবারও আরও ২০টি ইঞ্জিন একই ভাবে একই পথে অথবা হলদীবাড়ি- চিলাহাটি রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।