অন্যদিকে কোনো প্রার্থীর প্রভাবাধীন স্থানে ভোট কেন্দ্র স্থাপন না করার নির্দেশনা রয়েছে নীতিমালায়। একইভাবে রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানেও ভোট কেন্দ্র স্থাপন না করার বিধান রাখা হয়েছে। তবে বিকল্প কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকলে এই শর্ত শিখিল করা যাবে। ভোট কেন্দ্রে যাতায়াতের সুবিধা ও অবস্থানের বিষয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভোটার এলাকাগুলো যেন ভোট কেন্দ্রের সংলগ্ন ও সুনিবিড় হয় এবং দুটি কেন্দ্রের মধ্যে দূরত্ব ৩ কিলোমিটারের বেশি না হয়।
এর আগে গত ২১ মে ইসির পঞ্চম কমিশন সভায় এ নীতিমালা অনুমোদন করে নির্বাচন কমিশন। ওইদিন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা, ২০২৫; সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এ সভায়। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় যে কমিটি ছিল আমরা তা বিলুপ্ত করেছি। এটা কমিশনের অধীনে আনা হয়েছে। দ্বিতীয়ত ইভিএম সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আমরা বাতিল করেছি। যেহেতু ইভিএম নেই।
এবার সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো এগিয়ে রাখছে ইসি। ইতোমধ্যে খসড়া আচরণবিধিও প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজারের বেশি ভোট কেন্দ্র ছিল। ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। এবার সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের জন্য আরও বেশি ভোট কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ দরকার হবে। ভোট কেন্দ্র নিয়ে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে সব ভোট কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।