আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ৩ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
“ তিস্তা শুধু একটি নদী নয় একটি নায়ক ভিলেনের লড়াইয়ের মঞ্চ “

বাস্তবায়ন হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা
“ তিস্তা শুধু একটি নদী নয় একটি নায়ক ভিলেনের লড়াইয়ের মঞ্চ “

ফেলানী হত্যার এক যুগ পর-ছোট ভাইয়ের বিজিবিতে যোগদান

ফেলানী হত্যার এক যুগ পর-ছোট ভাইয়ের বিজিবিতে যোগদান

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতুরক্ষা বাঁধে ধস; হুমকিতে তিস্তা সেতু

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতুরক্ষা বাঁধে ধস; হুমকিতে তিস্তা সেতু

রংপুরে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাবেক ইন্সটাক্টর ও পুলিশের এসআই'র বাড়ি ও সম্পদ ক্রোক

রংপুরে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাবেক ইন্সটাক্টর ও পুলিশের এসআই'র বাড়ি ও সম্পদ ক্রোক

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতুরক্ষা বাঁধে ধস; হুমকিতে তিস্তা সেতু

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ০৩:২৩

Advertisement

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি : উজানের পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতের কারণে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ৯শ’ মিটার দীর্ঘ এই বাঁধের মধ্যে অন্তত ৬০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

এতে হুমকিতে পড়েছে দ্বিতীয় তিস্তাসেতু এবং রংপুর-লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চলাচল করে। বাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙে গেলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আশেপাশের কয়েকটি চরাঞ্চলের গ্রাম এখন ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে।

জানা যায়, ২০১৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে মহিপুরে তিস্তা নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ করে। তবে চলতি বছরের আগস্টে উজানের ঢলের কারণে বাঁধের নিচের মাটি ভেসে ব্লকগুলো ধসে পড়ে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

মহিপুর এলাকার বাসিন্দা আফসারুল ইসলাম বলেন, এ বাঁধের মা-বাপ নেই। সেই দুই তিন মাস ধরে নিচের ব্লক ধসে যাচ্ছে। সে ব্যাপারে কারো কোন উদ্যোগ নেই। সেতু এলাকার বাসিন্দা আজিবর রহমান বলেন, প্রথমে ছোট ফাটল ছিল। ৪/৫ মাস ধরে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার তিস্তার পানি বাড়ায় বাঁধের বিশাল অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমি যখন বাঁধের ক্ষতির বিষয়টি এলজিইডিকে জানিয়েছিলাম, তারা মেরামতের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ভারত থেকে প্রবাহিত পানি হু হু করে ঢুকছে। পুরো বাঁধ ভেঙে গেলে সেতু, প্রধান সড়ক এবং চরাঞ্চলের গ্রামগুলো বিপদে পড়বে। আমাদের গ্রামবাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ভাঙনের বিষয়টি ডিসি স্যার এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে বৈঠকে বসেছি। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন


Link copied