মমিনুল ইসলাম রিপন: জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত সমমনা ৮ দলের রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ বুধবার বিকেল তিনটায় রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ ঘিরে নগরজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে বিগত কয়েকদিন ধরেই সমমনা দলগুলোর রংপুরের শীর্ষ নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশের কেন্দ্রীয় মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। শহরজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দুই শতাধিক মাইকের লাইন। আট দলের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর আট শতাধিক ভলান্টিয়ার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে স্থাপন করা হয়েছে বড় পর্দার মনিটর। সাংবাদিকদের লাইভ কভারেজ নিশ্চিত করতে রাখা হয়েছে উচ্চগতির ওয়াই-ফাই। বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে লালকুঠি মোড় হয়ে সিটি বাজার পর্যন্ত মাইকের বিস্তৃত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রস্তুতি তদারকির সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, রংপুর মহানগর আমির উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খান, সেক্রেটারি কে.এম. আনোয়ারুল হক কাজল, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রংপুর মহানগর সভাপতি মুফতি আব্দুর রহমান কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান পিয়ালসহ সমমনা ৮ দলের অন্যান্য নেতারা।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, সমাবেশ বাস্তবায়নে রংপুরের ৮ দলের নেতারা আন্তরিকতা ও মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন। লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এ সমাবেশ জাতির সামনে নতুন নজির স্থাপন করবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান পিয়াল বলেন, “ইসলামী শক্তির উত্থান ঠেকাতে আন্তর্জাতিকভাবে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে ইসলামী দলগুলো আজ ঐক্যবদ্ধ একটি শক্তিতে পরিণত হয়েছে। রংপুরের এই সমাবেশে বিশাল সমাগম প্রমাণ করবে—ইসলামী শক্তিকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না।”
৮ দলের পাঁচ দফা দাবি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন; জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতি চালু; সমান সুযোগ নিশ্চিত করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি; জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে রংপুরে বাড়তি উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। দলের নেতাদের প্রত্যাশা—এই মহাসমাবেশ থেকেই নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার সূচনা হবে।