ডেস্ক: জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে তার মৃত্যুর খবর ছড়াতে থাকে। যদিও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবার কিংবা দলের পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিবের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে উনি এয়ার অ্যাম্বেুলেন্সে এখনও থাইল্যান্ড পৌঁছাতে পারেননি। এরমধ্যেই কে বা কারা জানলো, আমি জানি না। বিষয়টা আমরাও নিশ্চিত নই। অনেকেই আমাকে ফোন দিচ্ছেন। তবে তেমন কিছু হলে আমরা আপনাদের জানাব।
এর আগে তার ছেলে ও রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রাহগিব মাহি সাদ এরশাদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হচ্ছে রওশন এরশাদকে। শুক্রবার বিকেল ৫টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে তাকে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তিনি রওনা হন বলে জানান বিরোধীদলীয় নেতার একান্ত সহকারী মামুন হাসান।
গত ১৪ আগস্ট থেকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী। তিনি ময়মনসিংহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং গত দুই মেয়াদে বিরোধীদলীয় নেতা। এরশাদের মৃত্যুর পর ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।