ডেস্ক: চলছে আশ্বিন মাস। ভাদ্র কেটে গেলেও ভ্যাপসা গরম দাপট দেখাচ্ছে বেশ।
কোথাও কোথাও বৃষ্টি যদিও হচ্ছে, তা কেটে গেলেই আবার বাড়ছে গরম। এ অবস্থা থাকবে পুরো অক্টোবর মাসজুড়েই। ধীরে ধীরে কুয়াশা পড়তে শুরু করলেও শীতের আবেশ পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা বিদায় নেওয়া শুরু করতে পারে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে। কার্তিকের ওই সময়েও থাকবে গরম। তবে এর মাছে সাগরে লঘুচাপ, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে বৃষ্টিও ঝরবে। তবে রোদের দেখা মিললেই বাড়বে গরম অনুভূতি।
বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল; এমনকি মধ্যাঞ্চলেও ভোরে কুয়াশার দেখা মিলছে। তবে শীতের অনুভূতি মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ কুয়াশার শীতের কারণে নয়। মেঘ নিচে নেমে এলে তা কুয়াশার মতো দেখায়। এখন তেমনটাই হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. ছাদেকুল আলম জানান, মাসের প্রথমার্ধে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে পর্যায়ক্রমে বিদায় নিতে পারে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
এ ছাড়া চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার একটি পরিণত হতে পারে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে। এতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত এবং কয়েকদিন তীব্র বজ্রঝড়ের আভাস রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, শীত আসতে অনেক দেরি। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়া শুরু করবে, পর্যায়ক্রমে পুরো দেশ থেকে বিদায় নেবে, তারপর আসবে শীতের বাতাস। আপাতত কোনো আভাস নেই। বরং পুরো অক্টোবর মাসজুড়েই থাকতে পারে গরমের দাপট। শীত আসবে নভেম্বরে। তার আগে কোনো আভাস নেই। শীতের তীব্রতা কেমন হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এ সময়কার কুয়াশার বিষয়ে তিনি বলেন, কুয়াশা অনেক কারণে হয়। গ্রামে বা শহরতলীতে এখন যে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে, তা শীতের কারণে নয়। মেঘের কারণেও অনেক সময় কুয়াশা কুয়াশা মনে হয়।
২০২৩ সালে ১৬ অক্টোবর দেশ থেকে বিদায় নিয়েছিল বর্ষা। এরপর ধীরে ধীরে হিমালয় থেকে আসতে শুরু করে উত্তর-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। গেল মৌসুমে শীতের দাপট ছিল চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এ সময় তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।