আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ১০ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
‘নভেম্বর থেকে চার মাসের জন্য খুলবে সেন্টমার্টিন’

‘নভেম্বর থেকে চার মাসের জন্য খুলবে সেন্টমার্টিন’

বাংলাদেশ-কসোভো সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান

বাংলাদেশ-কসোভো সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান

রংপুরে সেই বাগছাস নেতার পদ স্থগিত

শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থী পেটানো
রংপুরে সেই বাগছাস নেতার পদ স্থগিত

মুন্সীগঞ্জে বাসচাপায় মাদ্রাসা ছাত্রী নিহত, বাসে আগুন বিক্ষুব্ধ জনতার

মুন্সীগঞ্জে বাসচাপায় মাদ্রাসা ছাত্রী নিহত, বাসে আগুন বিক্ষুব্ধ জনতার

শেখ হাসিনার পরিবার ও ১০ শিল্প গোষ্ঠীর ৫৭ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ০৯:৪২

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার এবং ১০ শিল্প গোষ্ঠীর ব্যাংক ঋণে অনিয়ম, কর ফাঁকি, অর্থপাচারসহ নানা অনিয়ম অনুসন্ধান করছে সরকার গঠিত ১১টি তদন্ত দল। শেখ পরিবারসহ ১১টি শিল্প গ্রুপের পাচার করা বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং পাচারের টাকায় বিদেশে গড়ে তোলা বিপুল পরিমাণ সম্পদের হদিস মিলেছে। ইতোমধ্যে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ৫৭ হাজার ২৬০ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ও শেয়ার জব্দ করা হয়েছে।

তদন্ত সংস্থাগুলোর কয়েকটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  

জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বয়ে যৌথ তদন্ত দল। সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিশেষ নিরাপত্তাবিশিষ্ট কক্ষে চলছে তদন্তের নথিপত্র প্রস্তুতের কাজ।

এছাড়া পাচার করা অর্থ উদ্ধারে কাজে সহায়তা করছে আন্তর্জাতিক চারটি প্রভাবশালী সংস্থা। এগুলো হলো- দ্য স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি (এসটিএআর), ইন্টারন্যাশনাল এন্টি করাপশন কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (আইএসিসিসি), যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাসেট রিকভারি (আইসিএআর)।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার ছাড়া পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্প গ্রুপগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর আরামিট গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, জেমকন গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, সামিট গ্রুপ। এসব গ্রুপের পাশাপাশি গ্রুপের প্রধান ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়ও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, বিএফআইইউ এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫৭৩টি ব্যাংক হিসাবে ১৬৮০ কোটি টাকা ও ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাশাপাশি ১৮৮টি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) হিসাবে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার অর্থ ও শেয়ার স্থগিত আছে।

এছাড়া আদালতের নির্দেশনায় এখন পর্যন্ত জব্দ করা দেশীয় সম্পদের পরিমাণ ৪৬ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থাবর সম্পদ ৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ ৩৬ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। এছাড়া বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দের পরিমাণ ১০ হাজার ৪৫৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এর মধ্যে স্থাবর সম্পদ ৬০৯৭ কোটি টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ ৪৩৫৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আদালতের নির্দেশনায় দেশে-বিদেশে স্থগিত সম্পদের পরিমাণ  ৫৭ হাজার ২৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন


Link copied