আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

‘পান্তা খায়া ওজা করি, ঈদ মোগো জন্য নোয়ায়’

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, রাত ১০:৩৭

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  ‘কেউ ভিক্ষা দিবার চায় না গো বাবা। খালি শুকুরবারে কিছু টাহা পাই, তা চাউল কিনতে আটে না। আনাইজ (সবজি), গোস্ত, মাছ কিনবার পাই না। সারাটা মাস ওজা (রোজা) করলাম পান্তা খায়া। নুন-ভাত আর গলা দিয়া নামে না। ঈদ মোগো জন্য নোয়ায়।’ 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন উলিপুর পৌরসভার মধুপুর গ্রামের মৃত বয়জুদ্দিনে স্ত্রী আরজিনা বেওয়া (৭৫)।

মৃত ইব্রাহিম আলীর স্ত্রী ছফুরা বেওয়া (৬৫) বলেন, ‘বাড়ি ভিটা নাই, ভাতাও নাই। ভিক্ষার ওপর চলি। এখন তাও দেয় না। শুকুরবার ভিক্ষা করি ৩০০-৪০০ টেহা পাই। তা দিয়া চাউল কিনলেও তরকারি কিনবার পাই না। গোস্ত, মাছ কত দিন খাই না তা মনে পড়ে না। কেমন করি বাঁচমো বাহে, তোমরায় কন।’ 

 

একই আক্ষেপ মাঝিপাড়া গ্রামের শামছুল হকের স্ত্রী ফরজিনা বেওয়া (৬০), ধামশ্রেনী গ্রামের মৃত মফিজ কসাইয়ের স্ত্রী হাসনা বেওয়া (৫৫), জোনাই ডাঙ্গা গ্রামের বয়জুদ্দিনের স্ত্রী কদভানু (৬৮), রহিমা বেগম (৫৭), আনোয়ারা বেগম (৬৩), ছরিয়া বেওয়াসহ (৫৯) অসংখ্য মানুষের। 

আক্ষেপ করে তারা বলেন, টাকা ছাড়া ভাতা হয় না। সরকার রিলিফ দেয়; কিন্তু তাদের ভাগ্যে জোটে না। তাই কীসের রোজা, কিসের ঈদ। সারা বছর এক সমান বলে জানালেন তারা।   

ভ্যানচালক মোকবুল হোসেন বলেন, আগে দিন হাজার টাকা কামাইতাম। তা দিয়ে কোনো রকমে দিন চলে যেত। এখন কামাই রোজগার কম। দিনে ৪০০ টাকায় কোনো মতে চাল সবজি কেনা যায়। মাছ-গোস্ত কেনার টাকা হয় না। 

বিভিন্ন এলাকার নানা পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঠে কাজ নেই। নিত্যপণ্যের দামও বেশি। ফলে নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ঈদের খুশি যেন তাদের কাছে ম্লান হয়ে গেছে। বাজারেও ঈদের আমেজ নেই।  
 
এস এস স্যানিটারির মালিক যুবরাজ হাবিব বলেন, বেচাবিক্রির মৌসুম হলেও ক্রেতা নেই। কর্মচারীর বেতন দিতে পারছি না। 

পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব ও নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, ভিজিএফ বরাদ্দ এসেছে। তালিকার কাজ চলছে। হতদরিদ্ররা ওয়ার্ডে যোগাযোগ করলে সহায়তা পাবেন। 

সমাজসেবা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসনে যে বরাদ্দ পাওয়া যায়, তাতে বছরে চার-পাঁচজনকে পুনর্বাসন করা যায়। অথচ তালিকাপ্রাপ্ত ভিক্ষুকের সংখ্যা দেড় হাজার। এ ছাড়া যাদের পুনর্বাসন করা হয়, তারাও পেশা ছাড়ে না। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার সাহা বলেন, সহায়তা প্রয়োজন, এমন কেউ ভাতা না পেলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। আর ত্রাণের বিষয়ে পৌর সচিবকে বলা আছে, প্রকৃত দুস্থরা কেউ যেন বাদ না পড়ে।

মন্তব্য করুন


Link copied