আর্কাইভ  বুধবার ● ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ১০ পৌষ ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
৮ম শ্রেণির ৬৭ শতাংশ বই প্রস্তুত হয়নি, প্রাথমিকের শতভাগ সরবরাহ

মাধ্যমিক বিদ্যালয়
৮ম শ্রেণির ৬৭ শতাংশ বই প্রস্তুত হয়নি, প্রাথমিকের শতভাগ সরবরাহ

দিনাজপুর-সদর আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ 

দিনাজপুর-সদর আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ 

গ্রেফতারের পর আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

গ্রেফতারের পর আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

ঋণখেলাপিই থাকছেন মান্না, অংশ নিতে পারবেন না নির্বাচনে

ঋণখেলাপিই থাকছেন মান্না, অংশ নিতে পারবেন না নির্বাচনে

মানসিক সমস্যায় দেশের ৪২ ভাগ শিক্ষার্থী

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১, দুপুর ১০:০৬

Advertisement

ডেস্ক: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মানসিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। দেশে গত মার্চে মানসিক সমস্যাগ্রস্ত শিক্ষার্থীর হার ছিল ৩৬ শতাংশ। আগস্টে এ হার বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে যেমন শারীরিক স্বাস্থ্যে গুরুত্ব দিতে হবে, তেমনি আচরণগত পরিবর্তনও প্রয়োজন। পাশাপাশি যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছে। 

করোনা মহামারীর কারণে দেশব্যাপী প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সম্প্রতি দেশের গ্রামে ও শহরের বস্তি এলাকায় করা একটি জরিপে দেখা গেছে, কমপক্ষে ২২ শতাংশ প্রাথমিক এবং ৩০ শতাংশ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা স্কুল বন্ধ থাকায় লার্নিং লস বা শিখন ঘাটতির ঝুঁকিতে রয়েছে। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ‘কোভিড-১৯ লিভলিহুড অ্যান্ড রিকভারি প্যানেল সার্ভে’র অংশ হিসেবে এ জরিপ চালানো হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ২০২১ সালের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত শিশুদের শিক্ষাজীবনে কী কী পরিবর্তন এসেছে তা জানা।

জরিপে দেখা গেছে, মহামারী এবং এর ফলে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যেও পড়েছে বিরূপ প্রভাব। চলতি বছরের আগস্টে ১৫ শতাংশেরও বেশি পরিবার জানিয়েছে মহামারীর শুরু থেকেই স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপে ভুগছে। মা-বাবারা জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধ থাকাকালীন সন্তানদের আচরণ তুলনামূলক বেশি অসহনশীল, খিটমিটে এবং রাগান্বিত ছিল। জরিপের ফল বলছে, এ হার মার্চে ৩৬ শতাংশ থাকলেও আগস্টে তা বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়ায়।

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন সম্প্রতি গবেষণার ফল প্রকাশ করেন। হোসেন জিল্লুর রহমানের মতে, করোনায় আর্থিক ঝুঁকি এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির মতো মানবসম্পদের সংকটও গুরুত্বপূর্ণ। পুনর্বাসন ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ছাড়া শুধু স্কুল খুললে লার্নিং লস এবং ঝরেপড়ার ঝুঁকি মোকাবিলা করা যাবে না।

 

আর ইমরান মতিন মনে করেন, ‘শিক্ষা খাতে জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা দরকার। লার্নিং লস বা শিখন ঘাটতি এবং মানসিক চাপ প্রতিরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনকার অবস্থাকে জরুরি হিসেবে না দেখলে দীর্ঘমেয়াদে আগামী বছরগুলোর উন্নয়ন এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এটি অনেক বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’

 

মন্তব্য করুন


Link copied